ঢাকা: ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী থাকাকালে দুর্নীতির ঘটনা ‘অবহেলা’র অভিযোগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্তিন লাগার্দের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়েছে।
ক্রিস্তিনেরই উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো বুধবার এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সার্কোজির নেতৃত্বাধীন অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকালে ২০০৮ সালে ধনকুবের বেরনার্দ তাপিয়েকে ৫২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি বিল পরিশোধের অনুমোদন দেন লাগার্দ। অথচ ওই সময় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ‘ক্রেডিট লাইয়নাইস’ ব্যাংকের সঙ্গে তাপিয়ের আইনি লড়াই চলছিল।
অর্থমন্ত্রী ক্রিস্তিনের ওই সিদ্ধান্ত চলমান আইনি লড়াইকে বাধাগ্রস্ত করে বলে সেসময় অভিযোগ করেন সরকারি কৌঁসুলিরা।
এ বিষয়ে অবশ্য লাগার্দেকে এর আগে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। তবে, বরাবরই তিনি দাবি করে আসছেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয় এবং ওই সিদ্ধান্তে তিনি ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছেন এমন কোনো তথ্য নেই।
সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, ২০০৭ সালের নির্বাচনে সার্কোজিকে সমর্থন দিয়েছিলেন তাপিয়ে। সার্কোজি সরকারের মন্ত্রী হয়েই তাপিয়ের পক্ষে লাগার্দ এমন সিদ্ধান্ত নেন বলে মনে করা হয়।
প্রখ্যাত ক্রীড়াসামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাসের সাবেক শেয়ারহোল্ডার তাপিয়ে ১৯৯৩ সালে ফ্রাঁসোয়া মিতাৠান্দের সমাজবাদী সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য হন। ফুটবল ম্যাচ পাতানোর দায়ে ৮ মাস কারাভোগও করেন তিনি।
সংবাদ মাধ্যমগুলো মনে করছে, এ আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হওয়ায় আইএমএফ প্রধান হিসেবে ক্রিস্তিনের ভাবমূর্তির ওপর ছাপ পড়বে।
যদিও ক্রিস্তিন বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, তার পদত্যাগের কোনো ইচ্ছে নেই।
২০১১ সালের জুলাইয়ে আইএমএফ প্রধানের দায়িত্ব নেওয়া ক্রিস্তিনের মেয়াদ শেষ হবে ২০১৬ সালে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৪