ওয়াশিংটন: লিবিয়ায় প্রস্তাবিত নো ফ্লাই জোন (উড্ডয় নিষিদ্ধ) বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনেক বাধার সম্মুখীন হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ফলে সরকারি বাহিনীর হামলা ঠেকাতে এ পদক্ষেপ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এখন অনেক অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে গত সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ অ্যাডমিরাল মাইক মুলেন সতর্ক করে বলেন, ‘লিবিয়ায় নো ফ্লাই জোনের বাস্তবায়ন করলে বহু জটিলতার সৃষ্টি করবে। ’ এছাড়া এটা যুদ্ধের পদক্ষেপ এবং এর বৈধতার জন্য জাতিসংঘের আইনের প্রয়োজন বলেও অনেকে উল্লেখ করেন।
একইসঙ্গে লিবিয়ার মোট আয়তন ইরাকের চারগুণ। লিবিয়ার বিমান বাহিনীর রাডার এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিরোধ করতে হলে রাডারযুক্ত বিমান, জ্বালানি ট্যাঙ্ক এবং যুদ্ধ বিমানের প্রয়োজন। এছাড়া উত্তর আফ্রিকার এ দেশে কোনো বিমান চালক নিখোঁজ হলে তাদের উদ্ধারে হেলিকপ্টার এবং উদ্ধারকর্মী প্রয়োজন।
প্রতিদিন এ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৫০ থেকে ৭০টি বিমানের প্রয়োজন বলে সেনটার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড বাজেটারি অ্যাসেসম্যান্টের ব্যারি ওয়াটস জানান।
এছাড়া নো ফ্লাই জোন বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় যুদ্ধবিমানের জন্য বিমানবাহী যান প্রয়োজন। কিন্তু লিবিয়ায় এ ধরনের কোনো কিছু নেই।
মূলত লিবিয়ার স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির আক্রমণ ঠেকাতে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে ব্রিটেন এবং ফ্রান্সই সবচেয়ে কঠোরভাবে নো ফ্লাই আরোপের প্রস্তাব করে। তবে এর সম্ভাব্যতা নিয়ে গবেষণা চলছে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানায়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১১