ঢাকা: সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় যুক্তরাজ্যে বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নৃশংসতায় সমস্ত বৃটেন জুড়ে এ সতর্কতা জারি করা হয়।
শুক্রবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেরেসা মে নতুন করে সবাইকে সতর্ক করে দেন।
আল-কায়েদার পর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সুন্নিপন্থী জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি নারকীয় হত্যকাণ্ড চালিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিয়েছে তারা।
ইরাকে তাদের কারণে উদ্বাস্তু হয়েছে হাজার হাজার সংখ্যালঘু ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের মানুষ। গণহত্যার চালানোরও কথা উঠেছে। এরমধ্যে মার্কিন সাংবাদিক জেমস ফোলেকে মেরে পশ্চিমাদের রক্তে আগুন জ্বেলে দিয়েছে আইএস। সম্প্রতি শতাধিক সিরীয় সেনা হত্যার দাবি করেছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।
তাইতো আইএস জঙ্গি দমনে উঠে পড়ে লেগেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্স। ইতোমধ্যে আইএস ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইরাকে দফায় দফায় বিমান হামলা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিবিসির অনলাইনের খবরে বলা হয়, হামলার মাত্রা ‘সম্ভাব্য’ থেকে বৃদ্ধি করে ‘গুরুতর’ করা হয়েছে। বৃটেনে পাঁচ মাত্রা সতর্কতার মধ্যে এটি দ্বিতীয়। নতুন এই সতর্ক জারির মানে হচ্ছে যুক্তরাজ্যে হামলার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গোয়েন্দা কর্মকর্তাতের বরাত দিয়ে আশু হামলার আশঙ্কা নাকচ করে দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন বলেন, কমপক্ষে ৫০০ লোক সিরিয়া ও ইরাকে যুদ্ধ করার জন্য যুক্তরাজ্য ছেড়েছেন। জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমাদের যা যা করা দরকার সবই করা হবে।
তিনি আরো বলেন, খলিফার শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে যুদ্ধরত আইএস জঙ্গিরা আমাদের নিরাপত্তার সবচেয়ে বড় হুমকি যা আমরা আগে জানতাম না।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৪/ আপডেট: ২১৫০ ঘণ্টা