ঢাকা: রাশিয়া এ ‘বৃহৎ যুদ্ধ’ শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। তিনি বলেন, এ যুদ্ধে প্রায় ১০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
এদিকে, ইউক্রেনের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার দাবি তারা শুধু ইউক্রেনের রক্তাত্ব গ্রহযুদ্ধ ঠেকাতে সেদেশের সেনাবাহীনীকে সরিয়ে দিয়েছে।
ইউক্রেনের পূর্বে লুহান্স এয়ারপোর্ট থেকে রাশিয়াপন্থীরা সে দেশের সেনাবাহিনীকে হটানোর পরই উভয় দেশ এ দাবি করেছে।
ইতিমধ্যে ইউক্রেন সেনাবাহিনী, বিদ্রোহী এবং রাশিয়া প্রতিনিধিদের মধ্যে যে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছিল তা কোনো সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়েছে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্যালেরি হেলেটে গত সোমবার তার ফেসবুক পেজে লিখেছে, ‘আমরা বড় ধরনের যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছি। বিগত দুই বিশ্বযুদ্ধেও ইউরোপ এমন পরিস্থিতি লক্ষ্য করেনি। ’
দুর্ভাগ্যবসত আসন্ন এ যুদ্ধে প্রাণহানি আগে থেকেই অনুমান করা যায়। আসন্ন এ যুদ্ধে শত শত বা হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে না। এ যুদ্ধে প্রায় ১০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
ইউক্রেন ও পশ্চিমাদেশগুলোর অভিযোগ রাশিয়া ইউক্রেনের বিদ্রোহীদের সেনা ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে। যা রাশিয়া বরাবরই অস্বীকার করেছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এটা বিশ্বাস করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে যে একটি সভ্য দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ ধরনের মন্তব্য করেছেন।
গত এপ্রিলে শুরু হওয়া পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী ও সরকারী বাহিনীর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অন্তত ২ হাজার ৬০০ মানুষ নিহত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৪