ঢাকা: পাকিস্তানের চলমান বিক্ষোভে জীবন হারিয়েছেন মোট ৫৪ জন। যার মধ্যে ৪৫ জনই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান।
পাকিস্তানের রাজধানীর রেড জোনে পিটিআই কর্মীদের আজাদী মার্চের ১৯তম দিনে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ইমরান খান বলেন, সংসদে রাজনৈতিক দলগুলো জোটবদ্ধ হয়েছে এবং তারা জানিয়েছে দেশে স্বচ্ছ গণতন্ত্র বিরাজ করছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে গত নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ আছে। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ নিজেই এ কারচুপির সাথে জড়িত ছিলেন। এ কারণেই জনমানুষের দাবি সত্ত্বেও তিনি এর সুষ্ঠ তদন্ত করছেন না।
ইমরান খান অভিযোগ করেন, নওয়াজ শরীফ প্রধাণত ৮ ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক রেখে চলেছেন। যারা সবাই তার আত্মীয়। এর মধ্যে মেহমুদ খানকে তিনি একটি উচ্চপদে বসিয়েছেন এবং তার ভাইকে গভর্নর বানিয়েছেন। তাই এ মুহূর্তে ভোট কারচুপির বিষয়ে মেহমুদ নিশ্চুপ রয়েছেন। কারণ তিনিও এখান থেকে সুবিধা নিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বেলুচিস্তানের আক্তার মেঙ্গলও নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেছিলেন। এমনকি সকল সংসদীয় রাজনৈতিক দল ২০১৩ সালে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেছিল।
এদিকে, পাকিস্তানের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আক্রমণ ও অভ্যূত্থানের বিরুদ্ধে সমগ্র সংসদ ঐক্যবদ্ধ আছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলী খান।
তিনি বলেন, দেশ এখন কঠিন সময়ে অতিবাহিত হচ্ছে। এ সংসদ ১৮ কোটি মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছে। তাই মাত্র কয়েক হাজার মানুষের জন্য দেশে কোনো ধরণের আক্রমণ ও অভ্যূত্থানের বিরুদ্ধে সংসসদের সবাই ঐক্যবদ্ধ।
ইমরান খান নিসারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, পিটিআই’র কর্মীরা কি অপরাধ করেছিল। তারা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করছিল। কিন্তু সরকারি পুলিশ বাহিনী তাদের ওপর গুলি বর্ষণ করেছে যাতে কমপক্ষে ৪৫ জন মানুষ নিহত হয়েছে।
** অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে পাক সংসদ ঐক্যবদ্ধ
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৪