ত্রিপোলি: পশ্চিমা দেশগুলো যদি লিবিয়াকে বিমান উড্ডয়ন নিষিদ্ধ এলাকা (নো ফাই জোন) ঘোষণা করে, তাহলে গাদ্দাফির সমর্থকদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে। লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি লিবিয়ার সরকারি টেলিভিশনে বুধবার প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন।
গাদ্দাফি বলেন, পশ্চিমা দেশ সমূহের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশটির তেল সম্পদ কব্জা করা। তার সমর্থকরা এর বিরুদ্ধে লড়াই করে যাবে বলেও তিনি জানান।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ লিবিয়ার ওপর নো ফাই জোন আরোপ করবে, এই আশঙ্কায় তিনি লিবিয়ার বিদ্রোহীদের করার যুদ্ধ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এসব কথা বলেন।
গাদ্দাফি দাবি করেন, এমন উদ্যোগে লিবীয়দের বুঝতে হবে বিদেশিদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশটির তেল সম্পদ দখল করা এবং তাদের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করা। তিনি বলেন, যদি এমনটি ঘটে তাহলে লিবীয়রা হাতে অস্ত্র তুলে নেবে এবং লড়াই চালিয়ে যাবে।
বুধবার সকালে দেওয়া এক ভাষণে এই নেতা লিবীয়দের আহবান জানান, তারা যেন বিদ্রোহীদের কাছ থেকে দেশটির র্প্বূাঞ্চলীয় দখল করা এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন।
রাজধানী ত্রিপোলির ৭৫ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমের জিনটান থেকে আসা একদল তরুণের সঙ্গে আলাপকালে তিনি ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে লিবিয়ায় শুরু হওয়া সহিংসতার জন্য আবারো আল-কায়েদাকে দায়ী করেন।
লিবিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বুধবার তাঁর এই বক্তৃতা প্রচারিত হয়। কিন্তু কখন তিনি এই বক্তৃতা দেন সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
গাদ্দাফি সমর্থিত সেনাবাহিনী দেশটির পূর্বাঞ্চলে এবং বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়ছেন এবং রাজধানী ত্রিপোলির কাছের অন্যান্য কিছু এলাকা সরকার সমর্থিত সেনাদের দখলে আছে। গাদ্দাফি ১৯৬৯ সাল থেকে লিবিয়া শাসন করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১১