কায়রো: মিশরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে সেনাবহিনী প্রস্তাবিত সংশোধনী বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন মোহাম্মদ আলবারাদি। খবর এপির।
নোবেল বিজয়ী জাতিসংঘ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক এ প্রধান বলেন, ‘মিশরের সামরিক নেতাদের প্রস্তাবিত নীতিমালা নয়, দেশে প্রকৃত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিশ্চিত না হলে আমি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেব না। ’
মিশরের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল অনটিভিতে বুধবার তিনি এ আপত্তির কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘মিশরে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সংবিধানে সেনাবাহিনী প্রস্তাবিত সংশোধনী খুবই অস্পষ্ট। ’
আলবারাদি এ প্রস্তাবনা পুরোপুরি বাতিল অথবা সংশোধনীর পক্ষে ১৬ মার্চের গণভোট পিছিয়ে দিতে সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
অনটিভিকে তিনি বলেন, ‘মিশরের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় আমরা অতিক্রম করছি। এ সময় তাড়াহুড়া করা উচিত হবে না। সব কিছুই হওয়া উচিত শক্ত ভিতের ওপর। ’
উল্লেখ্য, মিশরের সংবিধান সংশোধন প্যানেল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কিছু সংশোধনী প্রস্তার করেছেন। এর মধ্যে প্রেসিডেন্টের মেয়াদ দুই বারে ৮ বছর করা হয়েছে। নির্বাচনে সব দল থেকে প্রার্থী দেওয়ারও বিধান রাখা হয়েছে যা মোবারক সরকারের সময় অসম্ভব ছিল। আলবারাদি আরো বলেছেন, তিনি এ সংশোধনী প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। তার অভিযোগ, এ প্রস্তাবনা প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা সীমিত করবে না। পার্লামেন্ট নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর পুনর্গঠনে যথেষ্ট সময়ও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তার।
অবশ্য রাজনৈতিক দল গঠনের ক্ষেত্রে কোন নিয়ম-নীতি আরোপ করা হয়নি এ নতুন প্রস্তাবিত সংশোধনীতে।
উল্লেখ্য, হোসনি মোবারকের পতনের পর সেনাবাহিনী মিশরের রাষ্ট্রক্ষমতা হাতে নেয়। ক্ষমতা গ্রহণের ৬ মাসের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১১