ঢাকা: বাশার সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইরত সিরিয়ার অন্যতম প্রধান বিদ্রোহী গ্রুপ আহরার আল শাম ব্রিগেডের প্রধান হাসান আবুদ নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সিরিয়ার ইদলিব শহরে একটি ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে অন্যান্য বিদ্রোহী দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় রহস্যময় বিস্ফোরণে নিহত হন তিনি।
এ ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৪৫ জন। তাদের অধিকাংশই সিরিয়ার বিভিন্ন বিদ্রোহী গ্রুপের শীর্ষ নেতা।
বিস্ফোরণের কারণ জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে সিরিয়া ও ইরাকের বিস্তৃত অংশ দখলে নিয়ে স্বঘোষিত ‘খেলাফত’ কায়েম করা চরমপন্থি জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ হামলার জন্য দায়ী। তবে বাশার সরকারের এজেন্টরাও এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আহরার আল শামের রাজনৈতিক শাখার সিনিয়র সদস্য আবু আল মুস্তাফা আল আম্বসি আল জাজিরাকে জানান তার সংগঠন এ ঘটনার তদন্ত করছে।
এদিকে হাসান আবুদের মৃত্যুর ঘটনায় ইসলামিক স্টেটের প্রতি সহানুভূতিশীল অনেক সামাজিক যোগাযোগ অ্যাকাউন্টে উল্লাস প্রকাশ করা হয়েছে বলে খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম। এর আগে ইসলামিক স্টেটের আত্মঘাতী বোমায় আহরারের আরেক নেতা আবু খালেদ আল সুরি প্রাণ হারিয়েছিলেন।
আহরার আল শামের অধীনে সিরিয়ায় যুদ্ধ করছে কমপক্ষে ২০ হাজার যোদ্ধা। তারা বিদ্রোহীদের প্রধান জোট ইসলামিক ফ্রন্ট অ্যালায়েন্সের প্রধান শরীক। একই সঙ্গে চরমপন্থি আইএস গ্রুপের বিরুদ্ধেও লড়াই করছে তারা।
সংগঠনটি আইএসের উগ্র চরমপন্থি দর্শন ও নৃশংসতার কঠোর সমালোচক। ইসলামের প্রাথমিক যুগের মূল্যবোধের ভিত্তিতে নারী এবং অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর অধিকার রক্ষার ব্যাপারে তারা উদারপন্থি ।
পাশাপাশি সিরিয়ার বর্তমান সঙ্কটে যে কোনো ধরনের বৈদেশিক ও পশ্চিমা হস্তক্ষেপেরও বিরোধী তারা।
গত বছরের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের উদ্যোগে জেনেভায় অনুষ্ঠিত বাশার বিরোধীদের সঙ্গে সিরীয় সরকারের আলোচনা প্রত্যাখ্যান করে ইসলামিক ফ্রন্ট জানায়, বাশারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তাদের লড়াই চলবে।
তবে জেনেভা আলোচনার পরই তাদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে আবির্ভূত হয় ইসলামিক স্টেট। বাশারের বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ের পাশাপাশি ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধেও লড়তে হচ্ছে ইসলামিক ফ্রন্টকে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৪