ঢাকা, রবিবার, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৩ আগস্ট ২০২৫, ০৮ সফর ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

জাপানে ৮.৯ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি: নিহত ২৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:৫৮, মার্চ ১১, ২০১১
জাপানে ৮.৯ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি: নিহত ২৬

টোকিও: জাপানের উত্তর-পূর্ব উপকূলে শুক্রবার রিখটার স্কেলে ৮ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের পর সৃষ্ট ৩৩ ফুট উচ্চতার সুনামিতে (১০ মিটার) গাড়ি, ঘরবাড়ি, গাছপালা ভেসে গেছে। খবর স্কাইনিউজ, বিবিসি ও এএফপির।



সুনামির ঘটনায় ২৬ জন নিহত হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে। আহত হয়েছে বহু মানুষ। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জাপানের গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, দেশটির উত্তর-পূর্বের সেনদাই শহরের উপকূলে ৩৩ ফুট উচ্চতার সুনামি সংঘটিত হয়েছে। এর আগে জানানো হয়েছিল ভূমিকম্পটি ৮ দশমিক ৮ মাত্রার।

এ ঘটনায় সুনামি সতর্কতা জারি করার পর অধিবাসীরা ঘরবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় এসে অবস্থান নেয়। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বেশিরভাগ দেশের জন্য সুনামি সতর্কতা জারি করেছে।

টিভি ফুটেজে দেখা যায়, উপকূলের বিভিন্ন অঞ্চলে গাড়ি, ঘরবাড়ি, নৌযান পানির তোড়ে ভেসে যাচ্ছে। মিয়াগির কেসেনুমা শহরে পানি সরাসরি প্রবেশ করে। এতে বিশাল একটি জাহাজ ভেসে যায়। সরকারি টিভি এএইচকে এ তথ্য সম্প্রচার করেছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ঘটনায় জাপানের প্রশাসনিক অঞ্চল মিয়াগিতে বহু মানুষ আহত হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে চার মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিবিসি জানিয়েছে, জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ছয় মিটার। টিভিতে দেখা যায়, প্রশান্ত উপকূলে বিশাল বিশাল ঢেউ পড়ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, টোকিও থেকে ২৫০ মাইল দূরে ও ২০ মাইল গভীরে এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল।

হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের প্যাসিফিক সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে, জাপান, রাশিয়া, মারকুস দ্বীপ ও নর্দার্ন ম্যারিনাস অঞ্চলের জন্য সুনামি সতর্কতা জারি করা হলো। এছাড়া গুয়াম, তাইওয়ান, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জেও সুনামি সংঘটিত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

টোকিওতে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। গত কিছু দিন একই স্থানে বেশ কয়েকটি সুনামির ঘটনা ঘটেছে।

ভূমিকম্পের ৩০ মিনিট পরও টোকিওর অনেকগুলো ভবন কাঁপতে দেখা গেছে। মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে গেছে। জাপানের কোস্টগার্ড কর্মকর্তা ইয়োসুকে অই বলেন, কোস্টগার্ড ও কর্মকর্তারা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।