ইসলামাবাদ: জাহিদা কাজমি পাকিস্তানের প্রথম নারী ট্যাক্সিচালক। তিনি পাকিস্তানের আদিবাসী অধ্যুষিত প্রান্তিক এলাকা থেকে শুরু করে ইসলামাবাদের জনবহুল রাস্তায়ও ট্যাক্সি চালিয়েছেন।
১৯৯২ সালে ৩৩ বছর বয়সে বিধবা হন জাহিদা। নিজের ভাগ্যের চাকা বদলানের আশায় তিনি ট্যাক্সি চালকের কাজই বেছে নেন।
খুবই রক্ষণশীল পিতৃতান্ত্রিক পরিবারে বেড়ে ওঠেন জাহিদা। নিজের মতো করে বেড়ে উঠতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ছয় ভাইবোন থাকায় পরিবারে তার ইচ্ছা-অনিচ্ছার কোনো দাম ছিল না।
আর জাহিদা এই সুযোগ পান পাকিস্তান সরকারের চালু করা একটি স্কিমের আওতায়। সরকারের ওই প্রকল্পের শর্ত অনুযায়ী সহজ কিস্তিতে কেউ একটি ট্যাক্সি কিনতে পারবে। কাজমি তখন একটি হলুদ রংয়ের ক্যাব কেনেন এবং ইসলামাবাদ বিমানবন্দর থেকে যাত্রীদের আনা-নেওয়া শুরু করেন।
১৯৯২ সাল পাকিস্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বছর। সে বছরই দেশের ডিশ অ্যান্টেনা চালু হয়। পাকিস্তান ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতে। সমাজটা তখন অনেক খোলামেলা ছিল বলেও মনে করেন জাহিদা। পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় এখন তালেবান থাকায় সমাজটা অনেক রক্ষণশীল হয়ে গেছে।
অতীতের স্মৃতিচারণ করেন জাহিদা বলেন, ‘অনেক জায়গায় পুলিশ আমাকে কোনো কারণ ছাড়াই তল্লাশি করত। তবে সেটা কোনো খারাপ উদ্দেশ্যে করা হতো না। ট্রাফিক পুলিশ আমাকে দেখে বেশ অবাক হতো। ’
কিন্তু জাহিদা এখন কান্ত। বয়স হয়েছে। এখন তিনি বিশ্রাম নিতে চান। তিনি বলেন, ‘এছাড়া আমার আর কী করার আছে? ছেলেরাও আমাকে সহায়তা করে না। ’ ছোটবেলায় জাহিদার ইচ্ছা ছিল ডাক্তার হওয়ার, ভাগ্যের চাকা সেদিকে না ঘোরায় ট্যাক্সিচালক হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১১