টোকিও: সিনেন জেনারেল হাসপাতালের অন্ধকার, গন্ধময় বিছানায় শুয়ে, হুইলচেয়ারে বসে কাতরানি শোনা যাচ্ছে। এখানে রোগী প্রায় ১২০ জন।
নীল জামা পরিহিত একজন বয়সী লোক কাঁদছেন। সামনে কেউ না থাকলেও বলে উঠলেন, ‘কোনো খাবার নেই। ’
গত সপ্তাহে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্প এবং ভূমিকম্পের পর ৩১ ফুট উচ্চতার সুনামিতে তছনছ হয়ে গেছে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক ক্ষমতাধর এই দেশটি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আর এ রকম ভয়াবহ সংকটের মধ্যে পড়েনি তারা।
আন্তর্জাতিক চিকিৎসাদল ডক্টারস উইদাউট বর্ডারস জাপানে চিকিৎসক দল পাঠিয়েছে। এর মুখপাত্র স্যাম টেইলর বলেন, ‘বৃদ্ধদের নিয়ে আমরা গভীর উদ্বেগের মধ্যে আছি। যাদের অনেকের অবস্থা খুবই নাজুক। তারা কোনো ওষুধপত্র ছাড়া শুধু অল্প খাবার এবং অল্প পানি খেয়ে কোনো রকমে বেঁচে আছে। ’
তিনি বলেন, তাদের কাছে যে পরিমাণ ওষুধ আছে তা দিয়ে কিছুদিন হয়তো চলবে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও ওষুধ প্রয়োজন হবে।
ভূমিকম্প আঘাত হানার সময় সিনেন জেনারেল হাসপাতালটিতে প্রায় ২০০ রোগী ছিল। ভূমিকম্পে হাসপাতালটির একাংশের ছাদ ধসে যায়। এর প্রথম তলায় রাখা সমস্ত ওষুধপত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে তা সব তছনছ হয়ে গেল। তাকাজো শহরের প্রায় ১২০০ জন লোক সুনামিতে ভেসে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৪,২০১১