ঢাকা: বিদেশি নাগরিকদের টোকিও ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকার। ভূমিকম্প ও সুনামি বিধ্বস্ত জাপানের পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের একের পর এক বিপর্যয়ের ঘটনায় বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সংকট ঘনীভূত হওয়ার জাপানের ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে সামরিক হেলিকপ্টার থেকে পানি ফেলতে দেখা গেছে। চুল্লিগুলোর তাপমাত্রা অত্যধিক হারে বেড়ে যাওয়ায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া তার নাগরিকদের রাজধানী টোকিও ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাড বলেন, ‘আপনি যদি টোকিওর ক্ষতিগ্রস্ত কোনো অঞ্চলে থাকেন, অন্যত্র সরে যান। আমরা আটটি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল চিহ্ণিত করেছি। তবে এর বাইরেও কেউ থাকতে পারেন। আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা অন্যত্র সরে যান। ’
যুক্তরাষ্ট্রের সরকার তার নাগরিকদেরও সতর্ক করে জানিয়েছে, ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্রের ৮০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে সব মার্কিনীকে অন্যত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
ব্রিটেন রাজধানী টোকিও ও জাপানের বিপর্যস্ত উত্তর-পূর্ব অঞ্চল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। তবে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পর্যায়ের তেজষ্ক্রিয়তা আবহম-লে নেই বলে জানানো হয়েছে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিট থেকে।
ফ্রান্স তার নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে নিতে দুটি সরকারি বিমান মোতায়েন করেছে। ফ্রান্সে ফিরে আসতে অথবা জাপানের দক্ষিণাঞ্চলে সরে যেতে বলেছে দেশটির সরকার। বুধবার ১৮০ জনের বেশি ফরাসি নাগরিক দেশে ফিরে গেছেন।
ভিয়েতনাম দূতাবাস থেকে তিনটি বাস পাঠানো হয়েছে দেশটির নাগরিকদের খাবারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করতে এবং সরিয়ে নিতে।
জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডসও তাদের নাগরিকদের রাজধানী ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। অন্তত উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে ভ্রমণ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভূমিকম্প ও সুনামিতে এ পর্যন্ত ১২ হাজার মানুষ নিহত ও নিখোঁজ রয়েছে। বাস্তুহীন হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। ইতিহাসের ভয়াবহতম এ বিপর্যয়ে খাদ্য, পানি, জ্বালানিসহ সর্বোপরি মানবিক সংকটের মুখে পড়েছে জাপান। বিশ্বের বহু দেশ তাদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে জাপানের দিকে।
সুইজারল্যান্ড, রাশিয়া, আলজেরিয়া, কম্বোডিয়া, ক্রোয়েশিয়া ও সার্বিয়াও তাদের নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বা দেশে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১১