প্যারিস: লিবিয়ার বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মুয়াম্মার গাদ্দাফির বাহিনীর ওপর বিমান হামলা চালানো হবে। শুক্রবার ফ্রান্স ও ব্রিটেন এ তথ্য জানায়।
ফ্রান্স এতে অংশ নেবে জানিয়ে শুক্রবার দেশটির মুখপাত্র ফ্রাঁসোয়া বারোঁ সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিমান হামলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আরটিএল রেডিওকে তিনি বলেন, ‘খুব দ্রুতই বা আর কয়েক ঘণ্টার হামলা শুরু হবে। ’
বারোঁ বলেন, সামরিক হামলা লিবিয়ার ভূখ- দখলের উদ্দেশে পরিচালিত হচ্ছে না। তবে সেখানকার নাগরিকদের রক্ষা ও তাদের স্বাধীনতার সব পথ পরিষ্কার করতে এ হামলা চালানো হচ্ছে। ’ তবে কখন, কিভাবে ও কোন স্থানে এ হামলা চালানো হবে তা তিনি জানাননি।
তিনি বলেন, ‘এই পদক্ষেপে অগ্রবর্তী ভূমিকা রেখেছে ফ্রান্স। স্বাভাবিকভাবেই সামরিক হস্তক্ষেপে অংশ নেবে ফ্রান্স। ’
কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। তবে জাতিসংঘের হামলাসংক্রান্ত অনুমোদনে বিদেশি স্থল বাহিনীর পাঠানোর প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে।
কয়েকদিন আগে আরব লিগের ২২ সদস্য দেশের নেওয়া লিবিয়ায় নো ফ্লাই জোন আরোপের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ব্রিটেন। তবে এ হামলার বিরোধিতা করেছে জার্মানি।
লিবিয়ার ওপর বিমান হামলার ব্যাপারে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন তার মন্ত্রিসভার সঙ্গে জরুরি বেঠকের পর বলেন, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে লিবিয়ার হামলার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বিমান ঘাঁটিতে সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। গ্রিনিচ সময় ১১০০টায় ক্যামেরন একটি বিবৃতিতে এ তথ্য বলেন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে লিবিয়ায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভ দমন করতে লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি বিদ্রোহীর ওপর বিমান চালাচ্ছে। আরব দেশগুলোর মধ্যে এর আগে, সরকার বিরোধী বিক্ষোভের মুখে তিউনিসিয়া ও মিশরে সরকার পতন ঘটেছে।
এদিকে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে লিবিয়ায় নো ফ্লাই জোন আরোপের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিদ্রোহীরা। তারা রাস্তায় নেচে-গেয়ে উৎফুল্ল প্রকাশ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১১