ত্রিপোলি: লিবিয়ার সরকার এই মুহূর্তে অস্ত্রবিরতির সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। শুক্রবার লিবিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুসা কুসা এ তথ্য জানান।
মুসা বলেন, ‘লিবিয়া এখনই অস্ত্রবিরতি ও সামরিক অভিযান স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ’
তিনি বলেন, জাতিসংঘের সদস্য দেশ হওয়ার কারণে তার দেশ আন্তর্জাতিক সংস্থাটির নিয়ম-কানুন মেনে চলতে বাধ্য।
এদিকে, শুক্রবার ফ্রান্স ও ব্রিটেন জানায়, তারা লিবিয়ার ওপর বিমান হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হামলা চালানো হতে পারে বলেও জানানো হয়।
পশ্চিমা দেশগুলোর জোট শুক্রবার লিবিয়ায় বিমান হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছিল। বিদ্রোহীদের ওপর মুয়াম্মার গাদ্দাফির হামলা ঠেকাতে পশ্চিমারা এ সিদ্ধান্ত নেয়।
এর আগে গাদ্দাফি পর্তুগালের সরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানায়, হামলার ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিষদের আইনে এরকম কোনো অনুমোদন নেয়। তিনি এটাকে স্বীকৃতি দেন না বলেও জানান।
গাদ্দাফি বলেন, ‘জাতিসংঘের আইন অনুযায়ী, কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে অন্য দেশের হস্তক্ষেপ করার অনুমোদন নেই। ’
বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে লিবিয়ার বেসামরিক লোকজনের জীবন যে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। শুক্রবার ফ্রান্স ও ব্রিটেন লিবিয়ায় বিমান হামলার ঘোষণা দেয়। ন্যাটো এতে অংশ নেবে বলেও জানায়।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে লিবিয়ায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভ চলছে। এ পর্যন্ত বিক্ষোভে বহু লোক নিহত হয়েছে।
ব্রিটেন, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়ে ও কাতার লিবিয়ায় নো ফ্লাই জোন আরোপের ব্যাপারে সহায়তা করবে বলে ঘোষণা দেয়। তবে চীন, জার্মানি, পোল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া সহায়তা করবে না বলে জানায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১১