বড়ই গরিব বারাক ওবামা। প্রেসিডেন্ট হয়েছেন তো কি হয়েছে, তার পকেটও গড়ের মাঠ হয়, তার ক্রেডিট কার্ডেরও ব্যালান্স ফুরিয়ে যায়, ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
গত মাসেই তার ক্রেডিট কার্ডে টাকা ছিলো না। পকেটে ছিলো না বিল দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নগদ অর্থ। আর এ জন্য নিউইয়র্কের একটি রেস্টুরেন্টে তাকে রীতিমতো বিপাকে পড়তে হয়।
তবে শেষ পর্যন্ত মিশেল ওবামার শরণাপন্ন হন প্রেসিডেন্ট। তাতেই পরিশোধ হয় হোটেলের বিল।
এ কথা জানান স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ওবামা। তিনি বলেন, “গত মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সময় একটি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম। বিল দেওয়ার সময় ক্রেডিট কার্ড এগিয়ে দিলাম, এই মনে করে যে যথেষ্ট ক্রেডিট সেখানে আছে। কিন্তু রেস্টুরেন্টের লোকেরা ‘যথেষ্ট ব্যালান্স নেই’ বলে ফিরিয়ে দিলো। ওরা হয়তো ভাবছিলো, প্রতারণা করা হচ্ছে তাদের সঙ্গে। ভাগ্যিস মিশেলের কাছে কিছু ডলার ছিলো। ”
গত শুক্রবার ওবামা কথাগুলো বলছিলেন যখন তিনি ভোক্তাকে পরিচয় চুরি বা প্রতারণা থেকে সংরক্ষণে একটি নির্বাহী আদেশে সই করছিলেন।
ওবামা বলেন, আমি ওয়েট্রেসকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলাম যে আমি প্রতারক নই।
এমন ঘটনা যে ওবামার ক্ষেত্রে ওই প্রথম তা নয়। গত জুলাইয়ে অস্টিনে ৩০০ ডলারের বারবিকিউ অর্ডার দিয়ে ক্রেডিট কার্ডে তা পরিশোধ করতে গিয়ে ধন্দে পড়ে যান ওবামা। তার সন্দেহ হচ্ছিলো কার্ডটি ঠিক আছে কি না, কিংবা যথেষ্ট ক্রেডিট আছে কি না। এসময় তিনি বার বার ট্রিপ ডাইরেক্টর মারভিন নিকোলাসকে বলছিলেন, একটু চেক করে নিতে। মারভিন অবশ্য নিশ্চিত করেন জেপি মর্গানের ওই ক্রেডিট কার্ডে ৩০০ ডলার পরিশোধের জন্য যথেষ্ট ব্যালান্স রয়েছে।
এর আগে জুনে ওবামা গিয়েছিলেন মিনিয়াপোলিসের একটি বুটিক গ্রোসারি স্টোরে। সেখানে তাকে ৮২.৫৫ ডলার ক্যাশ দিতে হয়েছিলো। সেবারও তাকে অনেক খুঁজে পেতে ওই অর্থ শোধ করতে হয়েছিলো। আর ওয়ালেটে ক্রেডিট কার্ডটিও ছিলো না।
বাংলাদেশ সময় ১০৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৪