ঢাকা: খবর বেচা-কেনা আর খবরের আদলে প্রচার-প্রচারণা ভারতের মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার নির্বাচনে ছিলো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ভিএস সামপাথ এ কথা বলেছেন।
দুটি রাজ্যেই প্রার্থীরা খবরের জন্য অর্থ ছড়িয়েছেন। আমরা যখন রাজ্য দুটিতে সফর করি তখন অর্ধেকেরও বেশি দল থেকে এই অভিযোগ পাই। আর নির্বাচন যখন আরও ঘনিয়ে আসে তখন আমরা অর্থ, ক্ষমতা আর মদের ব্যবহার দেখি, বলেন সামপাথ।
নির্বাচনে ক্ষমতা আর অর্থের ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে, বলেন তিনি।
কংগ্রেস নিয়ন্ত্রণাধীন দুটি রাজ্যে গত সপ্তাহে যে ভোট হয়ে গেলো রোববার তার ফল ঘোষণার কথা রয়েছে। ফলের আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এই বক্তব্যকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। প্রাক নির্বাচনী জরিপগুলো আগে থেকেই দেখিয়ে আসছে এই দুই রাজ্যেই বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে।
এদিকে বিভিন্ন খবরে প্রকাশ দুই রাজ্যের নির্বাচনে ২১২ মিলিয়ন রুপি নগদ অর্থ, ১৩০ মিলিয়ন রুপি মূল্যের মদ খরচ হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন কারা অর্থের বিনিময়ে খবর ছাপছে তা ধরতে লোক নিয়োগ করেছে। ভিএস সামপাথ বলেন, খুবই গোপনে এই অর্থ লেনদেন হয়, খবরের জন্য যে অর্থ ছড়ানো হয় তা কখনোই প্রকাশ পায় না।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কের মেডিসন গার্ডেনে দেওয়া বক্তৃতা বারবার প্রচার করেছে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো। কোনো কোনো চ্যানেল অ্যাডভারটোরিয়ালের সাইন ব্যবহার না করেই বক্তৃতাটি প্রচার করে। ধারণা করা হচ্ছে অর্থের বিনিময়েই কাজগুলো করেছে টিভি চ্যানেল।
নির্বাচনী বিধিতে টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন আকারে প্রার্থীরা তাদের প্রচার চালাতে পারবেন। তবে তা বলে নিতে হবে এটি প্রচারের জন্যই করা হচ্ছে। যেসব চ্যানেল মোদীর ওই বক্তৃতা প্রচার করেছে, তারা অবশ্য দাবি করেছে বিজ্ঞাপন আকারেই ওই প্রচার চালিয়েছে তারা।
বাংলাদেশ সময় ১০৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৪