লন্ডন: লিবিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা স্থাপনায় রাতভর হামলার পরিকল্পনা থেকে সরে আসছে ব্রিটিশ টর্নেডো যুদ্ধ বিমানগুলো। বেসামরিক নাগরিকদের আঘাত করার আশঙ্কায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী সোমবার জানিয়েছেন।
রয়েল ইয়ার ফোর্সের (আরএএফ) পূর্ব নির্ধারিত হামলার লক্ষ্যবস্তু বেসামরিক এলাকা, এ তথ্য জানার পর হামলা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে সেনা মুখপাত্র মেজর জেনারেল জন লোরিমার জানান।
রোববার দিন শেষে ব্রিটেন ভূমধ্যসাগরের সাবমেরিন থেকে লিবিয়ার মাটিতে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লুরিমার বলেন, ‘জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৯৭৩ সালের আইনানুযায়ী ব্রিটিশ সেনাবাহিনী আজ রাতে লিবিয়ায় একটি হামলার পরিকল্পনা করে। কিন্তু ওই এলাকায় বেসামরিক নাগরিকের উপস্থিতির তথ্য জানার পর হামলা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ’
‘মূলত নিরপরাধ জনগণকে রক্ষার যুক্তরাজ্যের অঙ্গীকারের পরিপ্রেক্ষিতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ’
লিবিয়ার সাধারণ নাগরিককে রক্ষা, অস্ত্র বিরতির জন্য বাধ্য করা এবং মুয়াম্মার গাদ্দাফির বাহিনীর বিরুদ্ধে নো ফ্লাই জোন আরোপ করার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ এ আইন পাশ করে।
এর পরিপ্রেক্ষিতেই ব্রিটেনসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্স লিবিয়ায় আক্রমণ করে। শনিবার বিকালে ত্রিপোলিতে ফ্রান্সের আক্রমণের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এ হামলায় বহু জনগণ নিহত হয়েছেন বলে জানা যায়। তবে যৌথ বাহিনী এ অভিযোগ নাকচ করে দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১১