কলকাতা: প্রধান ধর্মগুরু দালাই লামার অবসর নেওয়ার কথা ঘোষিত হওয়ার পর প্রবাসী তিব্বতিদের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকার গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হল। রোববার বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত তিব্বতিরা এর জন্য ভোট দেন।
ভারতের ধর্মশালায় প্রবাসী তিব্বত সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাসিত তিব্বতিরা এদিন ৪৩ সদস্যের সরকার গড়ার জন্য ভোট দেন।
তিব্বত সরকারের প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্যাম্ফেল চোয়েস্যাং জানিয়েছেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নির্বাসিত ভোটাধিকারপ্রাপ্ত তিব্বতিদের সংখ্যা ৮৩ হাজার ৩৯৯ জন। ভারত, নেপাল, ভূটান, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, রাশিয়াতে এরা রয়েছেন। এই প্রথম গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের পথে নামলো প্রবাসী তিব্বত সরকার। ফলাফল প্রকাশিত ২৭ এপ্রিল। ’
বর্তমানে তিব্বত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হলেন সামঢং রিনপোচে। তিনি বছর দুয়েক ধরে ক্ষমতাসীন। এবার ভোটে দাঁড়িয়েছেন তিনজন। লবস্যাং সাংঘে, তেনজিন নামঘ্যায়াল তেতং ও তাসি ওয়াদিং। এর মধ্যে লবস্যাং হার্ভার্ড ল স্কুলের সিনিয়র ফেলো। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী তেতং একজন কূটনীতিবিদ। অন্যদিকে তাসি ব্রাসেলস, নিউইর্য়ক ও নয়াদিল্লিতে দলাই লামার প্রতিনিধি।
৭৫ বছরের ধর্মগুরু দলাই লামা একটি বিবৃতি বলেছেন, খুব তাড়াতাড়ি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাসিত সরকার গঠন করতে হবে। প্রয়োজনে সনদ সংশোধন করে পার্লামেন্ট গঠনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা উচিত।
ভারতীয় সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১১