অসলো: লিবিয়া হামলায় ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও কয়েকটি দেশ যোগ দিয়েছে। মূলত দেশটিতে নো ফাই জোন আরোপে আন্তর্জাতিক প্রচারণা আরও জোরদার করতে দেশগুলো অংশ নেয় বলে জানা যায়।
তবে তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে বলে বিশ্লেষকরা মত প্রকাশ করেন।
লিবিয়ার স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির বাহিনীকে পরাজিত করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ১৯৭৩ সালের আইনের আওতায় এরই মধ্যে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে যুদ্ধ বিমান পাঠিয়েছে নরওয়ে, ডেনমার্ক, কানাডা এবং বেলজিয়াম।
এ বিষয়ে শুক্রবার ন্যাটো বিষয়ে অত্যুৎসাহী ডেনমার্কের ডানপন্থী প্রধানমন্ত্রী লার্স লোকে রাসমুসেন বলেন, ‘সব আরব বিদ্রোহের সময় ডেনমার্ক সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং লিবিয়ার ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হবে না। ’
লিবিয়া মিশনে অংশ নেওয়া বিষয়ে সংসদে ভোটাভোটির আগে সাংবাদিকদের সংক্ষেপে রাসমুসেন বলেন, ‘আমাদের দেশটি ছোট কিন্তু আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আমাদের ইতিহাস বহু দিনের। ’
এদিকে জাতিসংঘকে সমর্থন করার দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য অনুযায়ী নরওয়েও লিবিয়ায় ছয়টি এফ- ১৬ যুদ্ধ বিমান পাঠিয়েছে।
তবে বহুমুখী এ বাহিনীর নেতৃত্ব বিষয়ে পরিষ্কার তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত তাদের যুদ্ধ বিমান কোনো ধরনের আক্রমণে যাবে না বলেও সোমবার নরওয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
একই দিন বেলজিয়ামও অপারেশন ‘ওডেসি ডন’ এ অংশ নেওয়ার জন্য তাদের যুদ্ধ বিমান পাঠিয়েছে। লিবিয়ার জনগণের স্বাধীনতা অর্জনে সাহায্যের জন্য তাদের এ উদ্যোগ বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইয়ুভেস লেটারম্যান জানান।
একই সময়ে কানাডাও লিবিয়া যুদ্ধে অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে তাদের ভূখন্ড থেকে হাজার কিলোমিটার দূরের ইতালির ঘাঁটিতে ছয়টি এফ- ১৬ যুদ্ধ বিমান প্রেরণ করেছে।
মূলত যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের মতো মিত্র দেশের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ এবং জাতিসংঘ আইনের বাস্তবায়নে জোরারোপের জন্য কানাডা এ হামলায় অংশ নিয়েছে বলে দেশটির রয়েল মিলিটারি কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞানী হৌচ্যাং হাসান- ইয়ুরি জানান।
এদিকে এ হামলায় স্পেন, ইতালি এবং কাতারের যুদ্ধ বিমানও অংশ নেবে বলে জোট বাহিনী আশা করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১১