ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

সুড়ঙ্গ ঠেকাতে

গাজা সীমান্তে মিশরের ‘বাফার জোন’ নির্মাণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৪
গাজা সীমান্তে মিশরের ‘বাফার জোন’ নির্মাণ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: গাজা থেকে মিশরে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে ‘বাফার জোন’ নির্মাণ করছে মিশর। এর অংশ হিসেবে ওই বাফার জোনের মধ্যে অবস্থিত প্রায় আটশ‘ বাড়িঘর ও অন্যান্য স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়ার কাজ শুরু করেছে মিশরীয় সেনারা।



আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, বাড়িঘর ছেড়ে যেতে অধিবাসীদের বেঁধে দেয়া ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পর বুধবার থেকে স্থাপনা ধ্বংসের কাজ শুরু করে বেশ কয়েকটি বুলেডোজার। এছাড়া ভারী স্থাপনাগুলো ধ্বংসের জন্য ব্যবহার করা বিস্ফোরক।

সম্প্রতি সিনাইয়ের একটি সেনা চেকপোস্টে সশস্ত্র হামলায় নিহত হয় ৩১ মিশরীয় সেনা। এ ঘটনার পরপরই সিনাইজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে মিশরের সিসি সরকার। ‍পাশাপাশি বন্ধ করে দেয়া হয় গাজার সঙ্গে মিশরের একমাত্র সীমান্ত ক্রসিং রাফাহ।

মিশর সরকার এ হামলার ঘটনার জন্য ফিলিস্তিনি অনুপ্রবেশকারীদের দায়ী করে গাজা থেকে মিশরকে বিচ্ছিন্ন করতে একটি বাফার জোন তৈরির ঘোষণা দেয়।

বাফার জোন বাস্তবায়নে রাফাহ শহরের বাসিন্দা দশ হাজার মানুষকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেয় মিশরের সামরিক বাহিনী।
 
১০ কিলোমিটার দৈর্ঘে্যর ও ৫শ’ মিটার প্রস্থের ওই বাফার জোনে পানিভর্তি পরিখাও নির্মাণের পরিকল্পনা করছে মিশর সরকার। গোপন সুরঙ্গের মাধ্যমে গাজা থেকে মিশরে অনুপ্রবেশ ঠেকাতেই এ উদ্যোগ বলে দাবি  মিশরীয় কর্তৃপক্ষের।

মিশরের দাবি এসব গোপন সুরঙ্গের মাধ্যমে গাজা থেকে অস্ত্রশস্ত্র এনে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালাচ্ছে বিদ্রোহীগ্রুপগুলো।   পাশাপাশি গাজার হামাস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মিশরের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনেছে সিসি সরকার। এছাড়া  সিনাইয়ের বিদ্রোহী গ্রুপগুলোকে হামাস সহায়তা করছে বলেও অভিযোগ মিশরের।

তবে এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে সীমান্তে মিশরের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের নিন্দা জানিয়েছে জানিয়েছে হামাস।

মিশরের ইতিহাসে প্রথমবারের মত গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ২০১৩ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করে দেশটির সামরিক বাহিনী। পরবর্তীতে সামরিক বাহিনীর প্রধান আব্দেল ফাত্তাহ সিসি নিজেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে মিশরের শাসনক্ষমতা দখল করেন।

মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় মুরসির সমর্থক মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুড দলকে। এ সময় সরকার বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হলে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় শত শত মুরসি সমথর্ক। পাশাপাশি কারাগারে ভরা হয় হাজার হাজার মানুষকে। সহিংসতার অভিযোগে তাদের অনেককেই মৃত্যুদণ্ড সহ দীর্ঘমেয়াদী কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

অপরদিকে মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই  সিনাই উপদ্বীপে মিশরীয় নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলার ঘটনা বেড়ে যায়। যার অংশ হিসেবে গত শুক্রবার একটি সেনা চেকপোস্টে পরিচালিত হামলায় নিহত হয় ৩১ মিশরীয় সেনা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা,অক্টোবর ৩০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।