ঢাকা: দুই কন্যা সন্তানের ভরণ-পোষণ নিয়ে বিবাদের জের ধরে সাবেক স্ত্রীকে হত্যার উপায় গুগলে খুঁজেছেন এক অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক!
অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া অঙ্গরাজ্যের ৩৬ বছর বয়সী চার্লস মিহায়ো এমন অভিযোগের দায়ও স্বীকার করেছেন।
সম্প্রতি ভিক্টোরিয়ার আদালতে এ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে বিবাদী মিহায়ো এ দায় স্বীকার করেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, স্ত্রীকে হত্যা করার উপায় খোঁজার পর দুই কন্যা সন্তানকেও খুন করে ফেলেন পাষণ্ড মিহায়ো।
মিহায়ো আদালতকে জানান, গত ইস্টার সানডে’তেই চার বছর বয়সী সাবান্নাহ ও দুই বছর বয়সী ইন্দিয়ানাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তিনি।
আইনজীবীরা জানান, বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর দুই কন্যা সন্তানের ভরণ-পোষণ নিয়ে বিবাদে জড়ান মিহায়ো ও তার স্ত্রী।
এ নিয়ে একটি মামলা দায়ের করা হলে স্ত্রীর কাছেই দুই মেয়েকে রাখার সিদ্ধান্ত দেন আদালত।
কিন্তু আদালতের এ রায়ের পর দুই কন্যাকে জাঁকজমকপূর্ণ পোশাক পরিয়ে সিনেমা দেখার কথা বলে কোথাও নিয়ে যেতে উদ্যত হন মিহায়ো। এরই মধ্যে তার বাড়ির সামনে এসে উপস্থিত হন স্ত্রী। তাই স্ত্রীর চোখের আড়াল করে ফেলতে দুই মেয়েকে ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন তিনি।
এরপর বাড়ির দরজায় নক করেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে উদ্বিগ্ন স্ত্রী পুলিশে খবর দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গ্যাভিন সিলবার্ট সাংবাদিকদের বলেন, ঘরের দরজা বন্ধ করে লুকোচুরি খেলাচ্ছলে কৌশলে বালিশচাপা দিয়ে মেয়েদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন পিশাচ মিহায়ো।
পুলিশ সদস্যরা বাড়িতে গিয়ে দেখেন মৃত দুই কন্যা সন্তানকে হত্যার পর গোসল করিয়ে বিছানায় রাখছিলেন মিহায়ো। সম্ভবত তাদের কোথাও ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন পিশাচ বাবা।
পরে মিহায়োকে আটক করে পুলিশ। দুই কন্যার হত্যাকারী মিহায়োর বিরুদ্ধে দণ্ডাদেশ অপেক্ষমান রেখেছেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৪