ঢাকা: প্রথম বিদেশ সফরে এখন ভারতে অবস্থান করছেন শ্রীলংকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। রোববার (১৫ ফেব্রুয়ারি) চার দিনের সফরে দিল্লি পৌঁছানোর পর সোমবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে তার।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, মোদী ও সিরিসেনার মধ্যকার বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। আলোচনায় শ্রীলংকার অর্থনীতি, শান্তি, স্থিতিশীলতা ও জাতিগত বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয় প্রাধান্য পাবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে তার নৈশভোজে অংশ নেবেন সিরিসেনা।
পরের দিন মঙ্গলবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বুদ্ধগয়া ও তিরুপাটিতে বৌদ্ধমন্দির পরিদর্শন করবেন লংকান প্রেসিডেন্ট। ১৮ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার।
গত মাসের শুরুর দিকে শ্রীলংকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। নির্বাচনে মাহিন্দা রাজাপাকসেকে বিপুলভোটে পরাজিত করেন সিরিসেনা। রাজপাকসে বেইজিংয়ের এবং সিরিসেনা দিল্লির অনুগত বলে অভিযোগ রয়েছে বিরোধীদের।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাজাপাকসের শাসনামলে শ্রীলংকার অবকাঠামোগত প্রকল্পসহ সার্বিক কার্যক্রমে চীনের প্রভাব থাকলেও ভারত এবার সিরিসেনাকে দিয়ে সে ধরনের স্বার্থসিদ্ধি করতে চাইছে।
দীর্ঘদিন ধরে শ্রীলংকাকে দিল্লির বলয়ের মধ্যে রাখার বিবেচনায় ভারত কলম্বো ও তামিল বিদ্রোহীদের মধ্যে তাদের মধ্যস্থতায় করা শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে ১৯৮৭ সালে সেনা পাঠায়। কিন্তু শ্রীলংকার সরকার পরিবর্তনে সংবিধান সংশোধন করে স্বাক্ষরিত ওই শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করা হয়ে ওঠেনি। এর মধ্যে রাজাপাকসে প্রায় ১০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকাকালে দিল্লির সঙ্গে কলম্বোর সম্পর্কের খানিক শীতলতা তৈরি হয়।
দিল্লি আশা করছে, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা শ্রীলংকার উত্তরাঞ্চলের তামিল জনপদের স্থিতাবস্থা ও এই জনপদের মানুষের ক্ষমতায়নে স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তিটি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসবেন।
সিরিসেনার এই গুরুত্বপূর্ণ সফরে তার সঙ্গে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলা সামারাবীরা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজিধা সেনারত্নে, পুনর্বাসন বিষয়ক মন্ত্রী ডিএম স্বামিনাথন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিমন্ত্রী চাম্পিকা রানাবাকা ও বিচার বিষয়কমন্ত্রী উইজয়াদাসা রাজপাকসে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৫