ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

৩০ বছর পিছিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১১
৩০ বছর পিছিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি

ঢাকা: আধুনিক প্রযুক্তির উন্নয়ন, উৎপাদন ও বিতরণে বিশ্বে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দেশ যুক্তরাষ্ট্র। অথচ সেই দেশের কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা নাকি সেকেলে! এমন অভিযোগ করেছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রধান আইটি কর্মকর্তা।



ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান আইটি কর্মকর্তা বিবেক কুন্দ্রা বলছেন, হোয়াইট হাউজের তথ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থা এখনো ৩০ বছর পিছিয়ে। অবশ্য তার সঙ্গে ওবামা নিজেও একমত পোষণ করেছেন।

কেন্দ্রীয় প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কুন্দ্রা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের আইটির অবস্থা ভয়াবহ। এ কারণে অপচয়মূলক আইটি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা এতে ঝাঁপিয়ে পড়ব। সেই সঙ্গে যেসব প্রকল্পের কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না সেগুলো বন্ধ করারও পরিকল্পনা করছি। ’ তিনি বলেন, বিষয়টি যে কতটা জটিল ওবামা তা ধরতে পেরেছেন।

ওয়াশিংটনভিত্তিক রাজনীতি বিষয়ক পত্রিকা পলিটিকোকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বিবেক এসব কথা বলেন। মার্কিন সরকার বর্তমানে শুধু প্রযুক্তিখাতে ব্যয় করে ৮ হাজার কোটি ডলার। ২০০১ সালে এ ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলার।

কুন্দ্রা বলেন, ‘সরকার অকার্যকর প্রযুক্তির পেছনে কোটি কোটি ডলার খরচ করছে। আমি দেখেছি আইটি ড্যাশবোর্ড ব্যবহার করে ৩ হাজার কোটি ডলার খরচ বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। ’ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সরকারের ব্যয় নির্ণয় করতে ২০০৯ সালে কুন্দ্রা এ যন্ত্রটি উদ্ভাবন করেন।

পলিটিকোকে তিনি আরো জানান, ‘এছাড়া আরো কিছু উন্নতি হয়েছে। ওবামা যখন আনুষ্ঠানিকভাবে তার কাজ শুরু করেন তখন আমাদের বিশাল বিশাল ডেস্কটপ কম্পিউটার ছিল, অথচ কোনো ল্যাপটপ ছিল না।

সরকারের তথ্য প্রযুক্তিতে আধুনিকতার ছোঁয়া আনতে তিনি গুগল, মাইক্রোসফট এবং অ্যামাজনের মতো কোম্পানিকে যুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘এরা ক্লাউডিং কম্পিউটিং (অনলাইনে তথ্য বিনিময়) সেবা দিচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রত্যেক কেন্দ্রীয় সংস্থার নিজস্ব যন্ত্রপাতি (ও সফটওয়্যার) ছাড়াই আমরা একাধিক সার্ভারে আমাদের তথ্য নিরাপদে রাখতে ও ব্যবহার করতে পারব। এতে করে আমাদের খরচও কমবে সেই সঙ্গে দক্ষতাও বাড়বে। ’

কুন্দ্রা পলিটিকোকে জানান, ক্লাউডিং কম্পিউটিং সেবা পেতে সরকার শিগগির ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার বরাদ্দ দেবে। এ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে সরকারের ইমেইল ব্যবস্থা উন্নত করা।

এ উদ্যোগের ফলে প্রশাসন আশা করছে দুটি সংস্থার ইমেইল সিস্টেম ক্লাউডিংয়ের আওতায় আনলে ৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার খরচ বাঁচবে। সেই সঙ্গে আগামী ৫ বছরে ৮০০টি সরকারি তথ্যকেন্দ্র বাদ দেওয়া যাবে।

আইটি খাতে অনিয়ন্ত্রিত ব্যয় কমাতে ছয় মাস আগে বিবেক কুন্দ্রা ২৫ দফার পরিকল্পনা হাতে নেন। তার প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে Data.gov নামের সরকারি ওয়েবেসাইটে হাজার হাজার তথ্য উন্মুক্ত করে দেওয়া। যেখানে সাধারণ নাগরিকরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কেও তথ্য পেতে পারবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।