ঢাকা: মোবাইল ফোন ব্যবহারে ক্যান্সার ঝুঁকি বাড়ে এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিদ্ধার্থ মুখার্জি। তিনি বলেন, মস্তিষ্কের ক্যান্সারের সঙ্গে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিদ্ধার্থ মুখার্জি তার সদ্য প্রকাশিত ‘দ্য এমপেরোর অব অল ম্যালাডিজ: আ বায়োগ্রাফি অব ক্যান্সার’ বইয়ের জন্য ২০১১ সালে পুলিৎজার পুরস্কার জিতেছেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যায়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানের সহকারি অধ্যাপক।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় বেতার এনপিআরকে মুখার্জি বলেন, ক্যান্সারের কারণ উদ্ঘাটনের বিষয়টি কোনো গাণিতিক সমীকরণ সমাধানের মতো নয়। এটা এমন নয় যে একটি জাদুকরি সূত্র আছে যা দিয়ে ক্যান্সারের কারণ বা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোনো উপাদানকে সংজ্ঞায়িত করা বা খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।
ক্যান্সারের জীবাণু সনাক্ত করার বিষয়টি তিনি গোয়েন্দাগিরির সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, গোয়েন্দাগিরিতে তদন্তের জন্য একের পর এক তথ্য প্রমাণ জোগাড় করা হয়। তারপর আরও তদন্ত, আরও প্রমাণ অনুসন্ধান করতে হবে। ক্যান্সারের কারণ অনুসন্ধানের বিষয়টিও এমন।
মুখার্জি বলেন, গত দুই দশকে মোবাইল ফোন ব্যবহার নাটকীয়ভাবে বেড়েছে। মোবাইল ফোন ব্যবহার যদি ক্যান্সার সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে তাহলে আমেরিকায় যে হারে সেলফোন ব্যবহার বেড়েছে সে হারে মস্তিষ্কের ক্যান্সার বাড়া উচিত ছিল। কিন্তু তা হয়নি।
এছাড়া, ১৯৯২ থেকে ২০০০ সালের মাঝামাঝি এ সংক্রান্ত গবেষণায় যে ফলাফল পাওয়া গেছে তা একেবারেই উল্লেখ করার মতো না।
ধারাবাহিক কিছু জরিপে দেখা গেছে, ইদানীং শুধু মেয়েদের মস্তিষ্কের সামনের অংশে টিউমারের সমস্যা বেড়েছে। তাও আবার লাখে মাত্র ২ দশমিক ৫ থেকে ২ দশমিক ৬। অথচ কথা বলার সময় সাধারণত মস্তিষ্কের এ অংশটি মোবাইল ফোনের সংস্পর্শে আসে না।
তিনি বলেন, মোবাইল ফোনের অপব্যবহারের কারণে দুর্ঘটনাকবলিত হয়ে মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। উদাহরণ হিসেবে তিনি গাড়ি চালানোর সময় ফোন ব্যবহরের কথা উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১১