লন্ডন: দারফুর সহিংসতার দায় স্বীকার করেছেন সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির। তবে তার ভাষায় মিথ্যা প্রচারণার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) নিন্দা করেছেন তিনি।
গত বছরের জুলাইয়ে বশিরের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইসিসি।
গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাতকারে বশির বলেন, ‘অবশ্যই আমি সুদানের প্রেসিডেন্ট। আর এ কারণেই দেশে সংঘটিত সব ঘটনার জন্য আমি দায়ী। ’
দারফুরের সহিংসতায় ৩ লাখ লোক নিহতের ঘটনায় জাতিসংঘের অভিযোগ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে বশির এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যা কিছু ঘটছে তার জন্য অবশ্যই দায়-দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু দারফুরে কী ঘটেছিল? প্রথমত এটি ছিল একটি ঐতিহ্যবাহী সংঘর্ষ যা উপনিবেশিক আমল থেকে চলে আসছে।
জাতিসংঘের দাবি করা নিহতের সংখ্যা ঠিক নয় বলে দাবি করেন বশির। সুদানের যুদ্ধবিধ্বস্ত পশ্চিমাঞ্চলে তার সরকারের সব কর্মকা- সঠিক বলেও দাবি করেন তিনি।
দায়িত্বশীল প্রশাসন হিসেবে আমরা অবশ্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে কঠোরহস্ত হব। তবে কিছু জঙ্গি উপজাতিদের ওপর হামলা চালায় আর এ কারণে কিছু মানুষের প্রাণহানী ঘটছে। তবে এ নিয়ে পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমে যা বরা হচ্ছে তা এক কথায় অতিরঞ্জিত।
এদিকে. গত বুধবার বিরোধী নেতা আবদেল ওয়াহিদ নূরের কয়েকহাজার সমর্থকর পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর জালিংগিতে বশিরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে। তারা বশিরের বিরুদ্ধে নানা শ্লোগান দেয় এবং দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য সরকারকে দায়ি করে।
এসময় জনগণকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ করে। বিক্ষোভকারীদের ২৩ জনকে আটক করা হয় এবং আহত হন আরো অনেকে।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের হিসাব মতে, ২০০৩ সালে আরব নিয়ন্ত্রিত খার্তুমে অনারবরা অনুপ্রবেশ করলে দারফুরের ১৮ লাক মানুষ ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১১