দামাস্কাস: সিরিয়ার জনগণের সংস্কার দাবির প্রতি সম্মতি থাকলে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে নিজে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে এবং অন্যদের সুযোগ দিতে হবে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বৃহস্পতিবার এ মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিবার সিরিয়ার জরুরি আইন প্রত্যাহার সংক্রান্ত সরকারি অধ্যাদেশে প্রেসিডেন্ট আসাদ সই করেন।
এর ফলে গত ৪৮ বছর যাবত বহাল জনগণের যে কোনো ধরনের প্রতিবাদ সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকা আইনটির অবসান ঘটল। সেই সঙ্গে বিতর্কিত রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আদালতেরও বিলুপ্তি ঘটেছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এ খবর বৃহস্পতিবার থেকে বারবার সম্প্রচার করা হচ্ছে।
২০০০ সালে পিতা হাফিজ আল আসাদের মৃত্যুর পর ক্ষমতা হাতে নিয়েই বাশার দেশে জারি থাকা জরুরি আইন বহাল রাখেন।
সিরিয়ার রাষ্ট্রক্ষমতা বাথ পার্টির দখলে নেওয়ার ৪৮ বছর পর সম্প্রতি দেশটির ইতিহাসে নজিরবিহীন গণবিক্ষোভের মুখে সরকার এমন একটি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হল।
এদিকে, বাশারের এ সিদ্ধান্তকে যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানিয়েছে। তবে জনগণের রাজনৈতিক সংস্কারের দাবি যদি তিনি সন্তোষজনকভাবে পূরণ করতে চান তাহলে তাকে আরো অনেক কিছু করতে হবে নতুবা অন্যকে তা করতে দিতে হবে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মার্ক টোনার বৃহস্পতিবার এ বার্তা প্রকাশ করেন।
এর আগে সিরিয়ার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদেল হামিদ খাদাম মিশরের একটি দৈনিকে সাক্ষাতকারে বলেন, বিক্ষোভকারীদের ওপর দমননীতি বাশারের ক্ষমচ্যুতিকেই তরান্বি^ত করবে।
এ বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে টোনার বলেন, আসাদের ভবিষ্যত নিয়ে এখনো কোনো চিন্তা ভাবনা করছি না।
এদিকে বিক্ষোভকারীরা ফেসবুকে গুড ফ্রাইডে নামে একটি পাতা খুলেছে। শুক্রবার তারা বড় আয়োজনে সমাবেশ করবে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার বিক্ষুব্ধ হোমস প্রদেশের নতুন গভর্নর নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, বিক্ষোভে সহিংসতার জন্য দায়ী করে আগের গভর্নরকে গত ৭ এপ্রিল বরখাস্ত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল, ২২, ২০১১