ব্রাসেলস: বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন এক বছর আগেই। কিন্তু এখনো তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বহাল তবিয়তে আছেন।
দেশের রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের সমস্যা মীমাংসা করে সমঝোতায় কবে পৌঁছাবে আর তিনি নতুন সরকারের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে হাফ চেড়ে বাঁচবেন সেই প্রতীক্ষায় রয়েছেন।
নির্বাচন ও কার্যকর সরকার গঠনের মধ্যবর্তী সময়ে অস্থায়ী সরকার হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্বপালনের ক্ষেত্রে গিনেস বুকে নাম লেখাতে যাচ্ছে এই সরকার।
অনিচ্ছা সত্ত্বেও এমন গুরুদায়িত্ব বহন করে চলেছেন ইয়াভেস লেতেরমি। বেলজিয়ামের দুই বিরোধীগোষ্ঠী ফ্ল্যান্ডার ও ওয়ালোনিয়ার মধ্যে বিস্তর সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিভেদের কারণে সরকার চালানো কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়লে এক বছর আগেই লেতেরমি প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেন।
তবে তত্ত্ববধায়ক সরকারের ভূমিকা পালন সত্ত্বেও লেতেরমির সরকার গত বছর দেশের বাজেট পাস এবং লিবিয়াতে গাদ্দাফির বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে পশ্চিমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
লেতেরমি সরকারের এতো সব কাজ সত্ত্বেও দেশটির রাজা দ্বিতীয় অ্যালবার্ট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কাজটি করতে ব্যর্থ হয়েছেন তা হলো একটি স্থিতিশীল ঐক্যজোটের সরকার গঠন।
দেশটির রাজনীতি বিশ্লেষক পিয়েরে ভারকোতেরেন আগামী কয়েক মাসের মধ্যে একটি নতুন সরকার আশা করছেন। তবে খুব শিগগির এমন কিছু কেউ দেখছে না বলে মনে করেন তিনি।
দেশটিতে ডাচভাষী ধনী ফ্ল্যান্ডারস এবং বামপন্থী ফরাসিভাষী ওয়ালোনিয়া গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধের কারণে এর আগের নির্বাচন প্রচেষ্টা বানচাল হয়ে যায়।
ইউরোপের দেশ বেলজিয়ামের জন্ম হয়েছে ১৮৩০ সালে। জন্মের পর থেকে দেশটিতে তেমন রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়নি। তবে সাম্প্রতিক স্থবিরতা কবে ঘুচবে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এখন যদি রাজনৈতিক দলগুলো কোনো সমঝোতায় পৌঁছতে না পারে তাহলে খুব সম্ভবত ২০১৪ সাল পর্যন্ত লেতেরমির সরকার ক্ষমতায় থাকবে। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী এ সময় পর্যন্ত সংসদ সদস্যদের মেয়াদ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১১