স্যামরং: একটি মন্দিরের মালিকানা নিয়ে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। সংঘর্ষের তৃতীয় দিন রোববার সীমান্তে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে ভারী অস্ত্র থেকে গোলা বর্ষণের খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে জঙ্গলাকীর্ণ এ সীমান্ত এলাকা থেকে হাজার হাজার অধিবাসীকে ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। এর আগে গত দুই মাস দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধ বিরতি চলছিল।
কম্বোডিয়ার একজন সামরিক কমান্ডার সুস সথিয়া জানান, সকাল ১০টার দিকে যুদ্ধ শুরু হয়। উভয়পক্ষ থেকেই মর্টারের গোলা ছোঁড়া হয়। ভারী গোলাবর্ষণের বিষয়টিও নিশ্চিত করেন তিনি।
একজন থাই কর্মকর্তাও দু’দেশের সংঘর্ষ পুনরায় শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তার অভিযোগ কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকেই আগে গুলি করা হয়েছে।
এদিকে জাতিসংঘ মহসচিব বান কি মুন এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রতিবেশী দুই দেশকেই সর্বোচ্চ সহিষ্ণুতা দেখাতে হবে। দ্বন্দ্ব মেটাতে পরস্পরকে আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানান তিনি। শনিবার বানের মুখপাত্র এ কথা জানিয়েছেন।
শুক্রবার থেকে আজ অবধি সংঘর্ষে ৬ জন কম্বোডীয় এবং ৪ জন থাই সেনা নিহত হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথম সংঘর্ষ শুরু হয়। সে সময় সীমান্তে ৯০০ বছর পুরনো হিন্দু মন্দির প্রিয়া বিহারের মালিকানা নিয়ে সংঘর্সে ১০ জন নিহত হলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এর পর উত্তেজনা থাকলেও অস্ত্রবিরতি চলে।
রোববার সাপ্তাহিক টেলিভিশন ভাষণে থাইল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী অভিজিত ভেজ্জাজিভা বলেন, যখন ওপার থেকে থাইল্যান্ডে গুলি করা হচ্ছে তখন সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমাদের পাল্টাগুলি করতে হয়।
তিনি আরো বলেন, থাইল্যান্ড দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় আগ্রহী। তিনি অভিযোগ করেন, কম্বোডিয়া এ দ্বন্দ্বকে আন্তজর্তাতিকীকরণ করতে চাচ্ছে।
প্রিয়া বিহার মন্দিরটি কম্বোডিয়ার বাইরে অবস্থিত খেমার প্রকৌশলের অন্যতম নিদর্শন। ২০০৮ সালের জুলাইয়ে এটি বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘ।
১৯৬২ সালে আন্তর্জাতিক আদালত মন্দিরটির মালিকানা নিয়ে কম্বোডিয়ার পক্ষে রায় দেয়। তবে প্রতিবেশী দুই দেশই দাবি করে, মন্দিরের আশপাশে ৪ দশমিক ৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা তাদের মালিকানাধীন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১১