ত্রিপোলি: লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির বাসভবনে সোমবার সকালে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ন্যাটো বাহিনী। রাজধানী ত্রিপোলিতে গাদ্দাফির বিশাল কম্পাউন্ডে ন্যাটোর হামলায় বেশিরভাগ ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে।
এছাড়া রাজধানীর পার্শ্ববর্তী একাধিক অঞ্চলে বোমা বিস্ফোরণ ও জঙ্গি বিমান চক্কর দিতে দেখা গেছে। গাদ্দাফির কম্পাউন্ডের একজন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, হামলায় কমপক্ষে ৪৫ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি বলেন, এটা ছিল কর্নেল গাদ্দাফিকে হত্যার একটি প্রচেষ্টা।
গাদ্দাফিপুত্র সাইফ আল ইসলাম এ হামলাকে কাপুরুষোচিত বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘এ কাপুরুষোচিত হামলা শিশুদের ভয় দেখাতে পারে কিন্তু আমরা যুদ্ধে হার মানছি না এবং আমরা ভীতও নই। ’
এর আগে শুক্রবার বাব আল আজিজে হামলা চালিয়েছিল ন্যাটো। এর পাশেই রয়েছে প্রেসিডেন্সিয়াল কার্যালয়।
রাত ৩টার দিকে ভবনের ক্ষতিগ্রস্ত একটি অংশ থেকে তখনো ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। বোমার আঘাতে গাদ্দাফির কার্যালয় সংলগ্ন একটি সভাকক্ষ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ভবনেই দুই সপ্তাহ আগে আফ্রিকার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন গাদ্দাফি। সমঝোতা প্রশ্নে তিনি নেতাদের প্রস্তাবও মেনে নেন কিন্তু বিদ্রোহীরা তা প্রত্যাখ্যান করে।
গত শুক্রবার ন্যাটো বাহিনী প্রেসিডেন্টের কম্পাউন্ড লক্ষ্য করে হামলা শুরু করেছে। ইতিমধ্যে তারা একটি ভবন পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে।
গাদ্দাফির পতনের দাবিতে মধ্য ফেব্রুযারি থেকে লিবিয়াতে শুরু হওয়া সশস্ত্র বিক্ষোভে বিদ্রোহীদের সমর্থন দিতে গত ১৯ মার্চ পশ্চিমা জোট লিবিয়ার সরকারি বাহিনীর ওপর বিমান হামলা শুরু করে। পরে ৩১ মার্চ এ দায়িত্ব অর্পিত হয় ন্যাটো বাহিনীর ওপর।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১১