ব্যাংকক: প্রতিবেশী দুই দেশ কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সংঘর্ষ টানা চতুর্থ দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। নতুন করে সোমবারের সংঘর্ষে ১২ জন নিহত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান।
দুই দেশের সেনাদের মধ্যে ভারী অস্ত্র থেকে গোলাবর্ষণের ফলে এ পর্যন্ত কম্বোডিয়ার ৭ সেনা ও থাইল্যান্ডের ৫ সেনা নিহত হয়েছে। দুই দেশই সীমান্ত অঞ্চল সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে।
রোববার রাতে কম্বোডিয়ার ও থাইল্যান্ডের দুই সেনা নিহত হয়। দুটি দেশের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র এ তথ্য জানান।
দুই দেশের সীমান্তে ৯০০ বছর পুরনো হিন্দু মন্দির প্রিয়া বিহারের মালিকানা নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
প্রিয়া বিহার মন্দিরটি কম্বোডিয়ার বাইরে অবস্থিত খেমাররুজ স্থাপত্যকলার অন্যতম নিদর্শন। ২০০৮ সালের জুলাইয়ে এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করে জাতিসংঘ।
১৯৬২ সালে আন্তর্জাতিক আদালত বিহারটির মালিকানা নিয়ে কম্বোডিয়ার পক্ষে রায় দেয়। তবে প্রতিবেশী দুই দেশই দাবি করে, মন্দিরের চারপাশে ৪ দশমিক ৬ বর্গকিলোমিটার এলাকা তাদের মালিকানাধীন।
গত শুক্রবার সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে জঙ্গলাকীর্ণ এ সীমান্ত এলাকা থেকে হাজার হাজার অধিবাসীকে ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। এর আগে, গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথম সংঘর্ষ শুরু হয়। সেসময় এরপর উত্তেজনা থাকলেও অস্ত্রবিরতি চলে।
এদিকে জাতিসংঘ মহসচিব বান কি মুন এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি সীমান্ত অঞ্চল অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭, এপ্রিল ২৫, ২০১১