ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

শরীরে ৩০৫ দেশের পতাকা নিয়ে...

আন্তর্জতিক ডস্কে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১১
শরীরে ৩০৫ দেশের পতাকা নিয়ে...

কাঠমাণ্ডু: জাতিরাষ্ট্র, জাতীয়তা, শাসনব্যবস্থা, সীমান্তের কাঁটাতার ইত্যাদি দিয়ে সব দেশ আলাদা আলাদা। তবে এমন লোকও আছেন যারা এসব কৃত্রিম গণ্ডি মানতে নারাজ।

হ্যাঁ, এমনই একজন ভারতীয় ‘বিশ্বনাগরিক’ ৭০ বছরের প্রবীণ হর প্রকাশ। তার শরীরে ৩০৫টি দেশের পতাকা।

নিজেকে গিনেস ঋষি বলতে ভালবাসেন প্রকাশ। পেশায় মোটর যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারক এই ঋষি সম্প্রতি তার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বহু বিশ্ব রেকর্ডে মালিক হয়েছেন। এ মুহূর্তে নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে একটি আন্তর্জাতিক ট্যাটু প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন।

প্রতিযোগিতায় এসে প্রকাশ বলেন, ‘মানুষ আমাকে জোকার ও পাগল বলে। এতে অবশ্য আমার বিরক্তি লাগে না। ’

তিনি বলেন, ‘আমার স্বপ্ন হচ্ছে বহুবার পৃথিবী ঘুরে দেখা। আমি সেই সব দেশের শিশুদের কাছে যেতে চাই, যারা আমার শরীরে তাদের দেশের পতাকা খুঁজবে। একইসঙ্গে আমার দেশ সম্পর্কেও জানবে। ’

এসব কথা বলা সময় ভেনিজুয়েলার পর্যটক কার্লোস পেরেস প্রকাশের কাছে আসেন। পেরেস তার ছবি দেখেছেন পত্রিকায়। আর্জেন্টিনা থেকে আরেক বন্ধুকেও তিনি সঙ্গে এনেছেন। তারা দুজনই প্রকাশের শরীরে নিজ নিজ দেশের পতাকা দেখে অত্যন্ত খুশি হয়ে উঠেন। প্রকাশকে তারা তাদের দেশে যাবারও আমন্ত্রণ জানান।

হর প্রকাশ এ পর্যন্ত ২২টি বিশ্ব রের্কড গড়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে, ৪৮৯ পৃষ্ঠার বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ ইচ্ছাপত্র তৈরি (উইল), নয়াদিল্লি থেকে সানফ্রান্সিসকোতে পিৎজা পৌঁছে দেওয়া ইত্যাদি। আর শরীরে ট্যাটু তো রয়েছেই। আরও বেশি রের্কডের মালিক হওয়ার আশা করেন।

৩০৫টি পতাকার পাশপাশি তার শরীরে ১৮৫টি দেশের মানচিত্র, ১৬৫টি ছোট পতাকা ও ২ হাজার ৯৮৫টি ট্যাটু রয়েছে।

ঋষির এখন লক্ষ্য হচ্ছে, তার শরীরে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ট্যাটুশিল্পীর ছবি আঁকা। যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের এই রেকর্ডটি রয়েছে, তার শরীরে রয়েছে ২২ জন শিল্পীর ট্যাটু। যদিও তার কথায়, ‘আমার শরীরে ২৫ জন শিল্পীর কাজ রয়েছে। কিন্তু আমি সেগুলো ভিডিও করে রাখেনি। তখন এসংক্রান্ত নিয়মও জানতাম না। ’

কপাল, মাথা, বাহু, পা ও বুকে ট্যাটু থাকলেও প্রকাশের পিঠ এখনো ফকফকা, এখানে কোনো ট্যাটু নেই। প্রকাশের ভাষায়, ‘আমি ভবিষ্যৎ প্রকল্পের জন্য তা রেখে দিয়েছি। আমি বিশ্বের সব ট্যাটুশিল্পীর ছবি শরীরে সেঁটে নেব। ’

বিশ্বে পরিচিতি পেলেও তার পরিবার থেকে প্রকাশ খুব বেশি সমর্থন পাননি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমার স্ত্রী ও সন্তানরা আমার সঙ্গে কেনাকাটা অথবা পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠানে যেতে চায় না। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯, এপ্রিল ২৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।