নয়াদিল্লি: ভারতের অভ্যন্তরীণ বিমান পরিবহন সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার ৮০০ পাইলট ধর্মঘট শুরু করেছে। বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও কাজের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে মঙ্গলবার রাত থেকে তারা কর্মবিরতি দিয়েছে।
এদিকে পাইলট সঙ্কটের কারণে মুম্বাইগামী ৬টি, দিল্লিগামী ৭টি এবং কাঠমন্ডুগামী ২টি ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে।
তবে এয়ার ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা কার্যালয় এ ধর্মঘটে নির্বিকার আচরণ করছে। পাইলটদের এ কর্মবিরতি অন্যায় আখ্যা দিয়ে তারা দাবি করছেন, এতে যাত্রীদের কোনো সমস্যা হবে না।
ধর্মঘটী পাইলটরা কাজে ফিরে আসলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন তারা। কাজে ফিরতে অস্বীকৃতি জানালে চাকরিচ্যূত করারও হুমকি দিয়েছেন তারা।
জানা যায়, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ব্যববস্থাপকদের সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলটদের টানাপড়েন অনেকদিন থেকেই চলছে। এ নিয়ে মঙ্গলবার প্রধান শ্রম কমিশনারের সঙ্গে একটি বৈঠক ব্যর্থ হলে পাইলটরা ধর্মঘটের ডাক দেয়।
পাইলৈটদের সমিতি আইসিপিএ তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যবাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে।
ভারতের অভ্যন্তরীণ বিমান পরিবহন সংস্থা ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনস ও এয়ার ইন্ডিয়ার মোট পাইটের সংখ্যা ১২০০ জন। এর মধ্যে ৮০০ পাইলট এয়ার ইন্ডিয়াতে কাজ করেন যারা আইসিপিএর সদস্য। তাদের দাবি এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলটদের সমপরিমাণ বেতন তাদের দিতে হবে।
জানা যায়, এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনসের পাইলটদের বেতন-ভাতায় বৈষম্য রয়েছে। যা ভারতের ষষ্ঠ পে কমিশনে নির্ধারিত কাঠামোর লঙ্ঘন। এ বিধিটি ২০০৯ সালের নভেম্বরে পাশ করা হয়।
এর আগে অবশ্য গত ২৩ ফেব্রুয়ারিতেই আইসিপিএ ধর্মঘটের আগাম নোটিশ দিয়েছিল। তারা মার্চ থেকেই ধর্মঘটের হুমকি দেয়।
পরে দিল্লি হাইকোর্ট ১৬ মার্চের ডাকা ধর্মঘট থেকে তাদের বিরত থাকার নির্দেশ দেয়।
বিষয়টি মীমাংসা করতে ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১১