ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইউরোপের মুক্ত সীমান্ত চুক্তির সংস্কার চায় ফ্রান্স-ইতালি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১১
ইউরোপের মুক্ত সীমান্ত চুক্তির সংস্কার চায় ফ্রান্স-ইতালি

লন্ডন: ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে করা মুক্ত সীমান্ত চুক্তি ‘শেনজেন’ পুনর্বিবেচনা করা উচিত বলে মনে করে ফ্রান্স ও ইতালি। সম্প্রতি অস্থির আরব দেশগুলো থেকে ইউরোপে অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়া নিয়ে মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি ও প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বেরলসকোনির বৈঠকের পর দুই দেশের নেতারা এ মন্তব্য করেন।

খবর বিবিসির।

শেনজেন চুক্তির আওতাভুক্ত মুক্তসীমান্তের দেশে হাজার হাজার অনুপ্রবেশকারীকে ভিসা দেওয়ায় ফ্রান্সের সমালোচনা করে ইতালি। আরব দেশগুলোয় সাম্প্রতিক অস্থিরতার কারণে এ বছর প্রায় ২৫ হাজার অভিবাসী ইতালির দক্ষিণাঞ্চলে অনুপ্রবেশ করেছে।

শেনজেন চুক্তি অনুযায়ী ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত বেশিরভাগ দেশের বৈধ নাগরিকরা প্রায় বিনা বাধায় সীমান্ত পারাপারের অনুমতি পান। এর মধ্যে সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে এবং আইসল্যান্ডও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

তবে, লিবিয়ায় সহিংস বিক্ষোভ শুরুর পর বেশিরভাগ লোকজন উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। এর মধ্যে মিশর ও তিউনিসিয়াতে বেশি সংখ্যক মানুষ পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।

রোমে সভা শেষে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে সারকোজি ও বেরলুসকোনি জানান, ক্রমবর্ধমান অভিবাসী নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। তবে কোনো দেশই শেনজেন চুক্তির অবসান চায় না। বর্তমান এ বিশেষ পরিস্থিতিতে তারা শুধু কিছু পরিবর্তন চান।

সারকোজি বলেন, এ চুক্তি টিকিয়ে রাখতে হলে অবশ্যই পরিবর্তন আনতে হবে।

দুই নেতা ইইউ জ্যেষ্ঠ নেতাদের কাছে এ চুক্তিটি পুনর্মূল্যায়নের আবেদন জানিয়ে চিঠিও দিয়েছেন।

এদিকে এ মাসের প্রথম দিকে ইউরোপে আফ্রিকান অনুপ্রবেশকারী ঠেকাতে সমুদ্র ও আকাশপথে যৌথ টহলে সম্মত হয়েছে ফ্রান্স ও ইতালি। গত সপ্তাহে ফরাসি পুলিশ তিউনিসীয় অভিবাসীদের নিয়ে আসা একটি ইতালীয় ট্রেন সাময়িক আটকে রাখে।

উত্তর আফ্রিকা থেকে  ইউরোপগামী অভিবাসীরা প্রায়ই ইতালির দ্বীপ ল্যামপেডুসায় যান। এ দ্বীপটি তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

তবে মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো বলছে, বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে অভিবাসীদের ব্যাপারে ইউরোপকে আরো বাস্তবসম্মত চিন্তা করতে হবে। কারণ দেশ ছেড়ে আসা অনুপ্রবেশকারীদের খুব ক্ষুদ্র অংশই ইউরোপে প্রবেশ করে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংগঠন আইওএম জানায়, ইউরোপের চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যক অভিবাসী উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতে রয়েছে। তাদের চেয়ে বরং আফ্রিকার জন্য এটা বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।