গাজা: ফিলিস্তিনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল ইসলামপন্থী হামাস ও ইন্তিফাদার নেতা ইয়াসির আরাফাতের দল ফাতাহ জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনে সম্মত হয়েছে। খবর এপির।
মিশরের মধ্যস্থতায় পশ্চিমতীর নিয়ন্ত্রণকারী ফাতাহ এবং গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী হামাস বুধবার ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটি জোট সরকার গঠনে সম্মত হয়েছে।
এতে করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা প্রশ্নে ইসরায়েলের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছতে নতুন এক সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের আগ্রাসনের পর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এ দু’দল কৌশল ও আদর্শগত দ্বন্দ্বে একাধিকবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। এদের পারস্পরিক দ্বন্দ্বে এ যাবত কয়েক শ’ লোকের প্রাণহানীও ঘটেছে।
তবে ইসরায়েল তাদের ভাষায় ফিলিস্তিনে হামাসের মতো একটি জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যৌথ সরকার গঠনের কোনো সমম্ভাবনা তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের ঘনিষ্ট মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও অনুরুপ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
মিশরের মধ্যস্থতায় গৃহীত এ পরিকল্পনায় খুব শিগগির ফিলিস্তিনে একটি যৌথ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের আহ্বান জানানো হয়েছে। এ মধ্যবর্তী সরকার এক বছরের মধ্যে দেশে সংসদ ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পর্যন্ত প্রশাসনের দৈনন্দিন কাজ পরিচালনা করবে।
কায়রোতে প্রাথমিক সমঝোতার পর বুধবার ফাতাহ ও হামাসের পক্ষের আলোচকরা একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় ফাতাহর প্রধান আলোচক আজ্জাম আল আহমেদ বলেন, ‘জনগণ বিভক্তির অবসান চায়। আমরা বলছি, আজ আমরা সেই দাবি পূরণ করতে পেরেছি। ’
ফিলিস্তিনের এ দুই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে বিরোধ চরমে ওঠে ২০০৬ সালে সাধারণ নির্বাচনের পর। এ নির্বাচনে হামাস গাজা ও পশ্চিম তীরে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়। তবে পশ্চিমাদের চাপে ফাতাহ ক্ষমতা ছাড়তে রাজি না হলে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্যদিয়ে হামাস গাজা উপত্যকায় তাদের নিজস্ব সরকার গঠন করে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১১