ব্রাসেলস: লিবিয়ার বিদ্রোহীদের একজন নেতা বৃহস্পতিবার মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিপক্ষে লড়াইয়ে পশ্চিমা বিশ্বের প্রতি অস্ত্র সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন।
মুয়ম্মার গদ্দাফির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুলফাতাহ ইউনিস এখন বিদ্রোহীদের সশস্ত্র বাহিনীর নেতা।
তিনি বলেন, ‘গাদ্দাফি বেপরোয়া হয়ে গেছে। দুভার্গ্যজনকভাবে এখন তার কাছে ২৫ শতাংশ রাসায়নিক অস্ত্র রয়েছে। পরিস্থিতি তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে থাকলে তিনি এ অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন। সুতরাং তাকে থামাবে হবে। আর এজন্য পারস্পরিক সহায়তা প্রয়োজন। ’ বিশেষ করে, হেলিকপ্টার ও ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দরকার বলেও উল্লেখ করেন।
গাদ্দাফির হয়ে ৪২ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে ইউনিস বলেন, ‘গাদ্দাফি একজন হঠকারী লোক, যিনি কখনো পিছু হটতে পছন্দ করেন না। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। শেষ পর্যন্ত তিনি হয়ত মারা পড়বেন বা আত্মহত্যা করবেন। ’
ইউনিস জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান রেখে বলেন, ‘মিসরাতা শহর যেন গাদ্দাফি দখলে না নিতে পারে, এজন্য তাকে থামাতে হবে। এই শহরটিই কেবল বিদ্রোহীদের দখলে রয়েছে। এখানকার শিশুরা ড্রেনের নোংরা পানি খাচ্ছে। ’
তিনি বলেন, ‘আমি সুশীল সমাজ ও জাতিসংঘের প্রতি প্রার্থনা করছি, তারা যেন গাদ্দাফির বাহিনীকে মিসরাতা থেকে সরিয়ে দিতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়। ’
লিবিয়ার অন্তর্বর্তী জাতীয় পরিষদের প্রতিনিধি ইউনিসকে ব্রাসেলসে মিত্র বাহিনীর নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা বলেছে ন্যাটো। তবে কার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হবে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর সদস্য দেশ ইতালি ও ফ্রান্স লিবিয়ার বিদ্রোহীদের স্বীকৃতি দিয়েছে। আরব বিশ্বের দেশ কাতারও অন্তর্বর্তী জাতীয় পরিষদকে স্বীকৃতি দিয়েছে। গত সপ্তাহে বিদ্রোহীদের অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করার ঘোষণা দেয় ইংল্যান্ড।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান সিনেটন জন ম্যাককেইন লিবিয়ার বেনগাজি শহর পরিদর্শন করেন । এসময় তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্রোহীদের স্বীকৃতি ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১১