ঢাকা: ইন্দোনেশিয়ার প্রত্যন্ত একটি দ্বীপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তিন শতাধিক জেলেকে। তাদের আটকে রেখে জোর করে সমুদ্রে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত করেছিলো একটি চক্র।
এসব জেলেদের বেশিরভাগই মিয়ানমারের নাগরিক। তবে কম্বোডিয়া, লাওস ও থাইল্যান্ডেরও বেশ কিছু নাগরিক ছিলেন উদ্ধারপ্রাপ্তদের মধ্যে।
ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় প্রত্যন্ত বেনজিনা দ্বীপ থেকে তাদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী তুয়াল দ্বীপে নিয়ে আসে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
উদ্ধার পাওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, উন্নত কর্মসংস্থানের লোভ দেখিয়ে জোর করে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত করে আদম পাচারকারীরা। শ্রমের বিনিময়ে তাদের কোনো মজুরি দেযা হতো না। পাশাপাশি খাদ্য ও বাসস্থান সহ অন্যান্য মৌলিক সুবিধাও ছিলো সঙ্কুচিত। এছাড়া কাজের সময় ছাড়া অন্য সময় ছোট ছোট সেলে বন্দি করে রাখা হতো তাদের।
এ ব্যাপারে ইন্দোনেশিয়ার মিনিস্ট্রি অব ফিশারি অ্যান্ড ম্যারিটাইম অ্যাফেয়ার্সের মহাপরিচালক আসেপ বুরহানউদ্দিন জানান, কাজ করার সময় ঘুমিয়ে পড়লে কিংবা কাজে ফাঁকি দিলে এসব জেলেদের বৈদ্যুতিক শক সহ অন্যান্য নির্যাতন করা হতো।
রেস্টুরেন্টে কাজ দেয়ার কথা বলে দেশ থেকে আনা হলেও মাছ ধরার ট্রলারে খাটানো হতো তাদের।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছেন বেনজিনার আশপাশে কমপক্ষে ৪ হাজার মানুষকে এভাবে জোর করে খাটানো হচ্ছে।
উদ্ধার পাওয়া ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, দিনে ২০ থেকে ২২ ঘণ্টা করে খাটানো হতো তাদের। দেয়া হতো দূষিত পানি। নির্যাতন সহ্য না করতে পেরে সমুদ্রেই অনেকে মারা যান বলে জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৫