ঢাকা: সাবেক ইরাকি প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেইনের জন্ম শহর তিকরিত ‘পুনরুদ্ধারে’ দেশটির সেনাবাহিনীকে সহায়তাকারী শিয়া মিলিশিয়ারা এলাকা ত্যাগ করেছে। তবে তিকরিত ছাড়ার আগে তারা ব্যাপক লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৪ এপ্রিল) এ আধাসামরিক বাহিনীর বেশিরভাগ সদস্য শহর ত্যাগ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিকরিত কাউন্সিলের প্রধান আহমেদ আল-ক্রেইম।
বুধবার (১ এপ্রিল) ইরাক ও সিরিয়াভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দখল থেকে তিকরিত পুনরুদ্ধারের বিষয়ে ইরাক সরকারের ঘোষণা আসার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই শিয়া মিলিশিয়ারা ওই এলাকায় চুরি, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, সরকারের পুনরুদ্ধার ঘোষণা আসার পরপরই হঠাৎ সংঘাত শুরু হয় তিকরিতে। এ সংঘাতের সময় কয়েকশ’ বাড়িঘর ও দোকানপাটে লুটপাট করা হয়। সেই সঙ্গে বেশ কিছু স্থাপনায় অগ্নিসংযোগও করা হয়।
এরই প্রেক্ষিতে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী শিয়া মুসলিম হায়দার আল-আবাদি সালাউদ্দিনে প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিকরিত থেকে আধাসামরিক বাহিনী সরানোর সিদ্ধান্ত নেন।
সুন্নি রাজনীতিকরা জানান, তিকরিতের নিরাপত্তায় পুলিশ এগিয়ে আসার পর শনিবার (৪ এপ্রিল) সেখানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ বন্ধ হয়।
৮০ শতাংশ শিয়া স্বেচ্ছাসেবক যোদ্ধা তিকরিত ত্যাগ করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন আধাসামরিক বাহিনীটির মুখপাত্র করিম আল-নুরি।
তিকরিতের পরিস্থিতি এখন শান্ত বলে জানিয়েছেন সেখানকার পুলিশ কর্মকর্তারা।
গত বছরের জুনে তিকরিত দখল করে নেয় ইরাক ও সিরিয়া অঞ্চলের আইএস। তিকরিত সরকারের পুনর্দখলে এলেও এখনও দু’টি দেশের বিশাল এলাকা জঙ্গি গোষ্ঠীটির কবলে পড়ে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৫
আরএইচ/এইচএ