লন্ডন: প্রিন্স উইলিয়াম ও তার নববধূ প্রিন্সেস কেট মিডলটন শনিবার মধুচন্দ্রিমায় যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে তারা কোথায় যাবেন তা এখনো গোপন রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, উইলিয়াম রয়্যাল এয়ারফোর্সের চাকরি থেকে দুই সপ্তাহের ছুটি নিয়েছেন। মধুচন্দ্রিমায় কোথায় যাবেন সেটা এমনকি তিনি কেটের কাছেও গোপন রেখেছেন। ফলে তাদের গন্তব্যস্থল নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে।
তবে আফ্রিকার প্রতি উইলিয়ামের গভীর টান রয়েছে। গত বছর তিনি কেটকে কেনিয়ায় ভ্রমণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ফলে এটাকে ভাবা হচ্ছে মধুচন্দ্রিমার সম্ভাব্য স্থান।
এদিকে, সম্ভাব্য স্থানের তালিকায় জর্দানও রয়েছে । পরিবারের সঙ্গে কেট তার শৈশবের দুই বছর সেখানে কাটিয়েছেন। তবে মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক সরকার বিরোধী উত্থানের ঘটনায় তাদের পছন্দের তালিকায় জর্দান নাও থাকতে পারে।
ক্যারিবীয় অঞ্চলের বেকিয়া ও নেকার দ্বীপপুঞ্জেও তারা যেতে পারেন। কেটের ধনী পরিবার অতি মনোরম ওই অঞ্চলে প্রায়ই ভ্রমণে আসেন। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের উপকূলে লিজার্ড দ্বীপেও তাদের যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে গন্তব্যস্থল যাই-ই হোক ব্রিটেনের এই ডিউক ও ডাচেস অব ক্যামব্রিজের এটা ব্রিটিশ গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পর্ক যাচাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ক্ষণ। কীভাবে তারা গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করবেন তা দেখার বিষয়।
মধুচন্দ্রিমায় তাদের একান্ত সময়ে গণমাধ্যমের লোকজন যাতে কোনো ঝামেলা না করে সেজন্য তারা আইনী পদক্ষেপও নিতে যাচ্ছেন।
১৯৮১ সালে বিয়ের পর সালে চার্লস ও ডায়ানা তাদের মধুচন্দ্রিমার প্রথম পর্ব সারেন ইংল্যান্ডেই। এরপর তারা ব্রিটানিয়া নৌযানে জিব্রাল্টার প্রণালী হয়ে আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, সিসিলি ও মিশর যান। এরপর স্কটল্যান্ড থেকে সবশেষে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের বালমোরাল জমিদারি এলাকায় সময় কাটান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১১