ইসলামাবাদ: আগে থেকে জানালে বিন লাদেন হত্যা অভিযানের তথ্য আইএসআই ফাঁস করে দিতে পারত; যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্রের এমন অনাস্থার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ‘র পরিচালক লিওন প্যানেটা বলেছেন, বিন লাদেনের ব্যাপারে কোনো গোয়েন্দা তথ্য পাকিস্তানের সঙ্গে ভাগাভাগি করা হয়নি। তাদের ভয় ছিল এতে করে পুরো পরিকল্পনাটি ভ-ুল হয়ে যেতে পারত।
এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান বশির বিবিসিকে জানান, তাদের এমন দৃষ্টিভঙ্গি হতাশাজনক। সন্ত্রাস মোকাবেলায় তার দেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমি রেখে আসছে বলে জোর দিয়ে বলেন তিনি।
গত রোববার পাকিস্তানের আবোটাবাদে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর হাতে আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন নিহত হন।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজ এ অভিযানের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে। এদিন হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জে কারনে জানান, অভিযানকালে প্রতিরোধের চেষ্টা করলে বিন লাদেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই সময় বিন লাদেন নিরস্ত্র ছিলেন।
নিরস্ত্র থাকলে কীভাবে বিন লাদেন প্রতিরোধ করতে উদ্যত হলেন সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের কোনো জবাব অবশ্য তিনি দিতে পারেননি।
মার্কিন কর্মকর্তারা এও জানিয়েছেন নিহত বিন লাদেনের ছবি প্রকাশের বিষয়টিও তারা বিবেচনা করছেন।
এদিকে, পাকিস্তানের ডন নিউজ টেলিভিশন জানিয়েছে, আল কায়েদার শীর্ষস্থানীয় নেতারা খুব শিগগির তাদের পরবর্তী নেতা নির্ধারন করতে বৈঠকে মিলিত হচ্ছে।
বশির বলেন, মি. প্যানেটা তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করার অধিকার রাখেন। তবে সন্ত্রাস দমনে তার দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সবক্ষেত্রে সগযোগিতা করে আসছে।
তিনি বলেন, আবোটাবাদে যে কম্পাউন্ডে বিন লাদেনকে হত্যা করা হয়েছে তা এর আগে পাকিস্তান ইন্টার সার্ভিস ইনটেলিজেন্সই (আইএসআই) প্রথম সন্দেহ করেছিল।
উল্লেখ্য, এক আল কায়েদা নেতা অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ২০০৩ সালে ওই কম্পাউন্ডে অভিযান চালিয়েছিল আইএসআই। তবে সন্দেহভাজন কাউকে সেখানে পাওয়া যায়নি। এরপর থেকে ওই বাড়িটির আর খোঁজখবর নেওয়া হয়নি।
বশির বলেন, বিশ্বসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যা কিছু করা হয়েছে তাতে পাকিস্তান সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। সুতরাং এখন এধরনের বক্তব্য একটু বিব্রতকরই বটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১১