ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ সফর ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

সিঙ্গাপুরে ভোট গণনা শুরু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:২৩, মে ৭, ২০১১
সিঙ্গাপুরে ভোট গণনা শুরু

সিঙ্গাপুর: বিশ্বের আধুনিক নগররাষ্ট্র সিঙ্গাপুরে সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে গণনা শুরু হয়েছে। দেশটিতে ১৬তম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় শনিবার।

খবর চ্যানেল নিউজ এশিয়ার

রাজনৈতিক দলের প্রার্থী এবং তাদের এজেন্টদের সামনে ভোট গণনা করা হবে। ভোটগ্রহণ শেষ হয় স্থানীয় সময় রাত ৮টায়।

গণনা শেষে ব্যালট পেপার, সংশ্লিষ্ট দলিলাদি, রেকর্ডপত্র ও অব্যবহৃত ব্যালট পেপার সুপ্রিম কোর্টের  ভল্টে সিল করা হবে। সেখানে এগুলো পরবর্তী ছয় মাস সংরক্ষণ করা হবে। ছয় মাস পর এগুলো পুড়িয়ে ফেলা হবে।

এই নির্বাচনে প্রায় ২২ লাখ লোক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। যা ২০০৬ এর সাধারণ নির্বাচনের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।

চ্যানেল নিউজ এশিয়া ও চ্যানেল ফাইভ রাত ৯টা ৩০ মিনিট থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রতি মুহূর্তে পাওয়া  সর্বশেষ ফলাফল প্রচার শুরু করবে।

অন্যদিকে ফলাফল ঘোষণার পর মিডিয়া কর্পোরেশন ( গবফরধঈড়ৎঢ়) প্রধানমন্ত্রীর ডাকা নির্বাচন-পরবর্তী  সংবাদ সম্মেলন সরাসরি সম্প্রচার করবে।

 ভোটারদের এক চতুর্থাংশ ছিল তরুণ, যাদের বয়স ২১ থেকে ৩৫ এর মধ্যে। এদের সংখ্যা ছিল প্রায় ৬লাখ।

৮৭ টি আসনের মধ্যে ৮২টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।

দেশটির ইতিহাসে স্বাধীনতার পর ২০১১ এর এই নির্বাচনই সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ।

ক্ষমতাসীন পিপলস অ্যাকশন পার্টি (পিএপি) সহ মোট ছয়টি বিরোধী দল এই নির্বাচনে অংশ নেয়।    


এর আগে প্রসিডেন্ট এস আর নাথান ১৯ এপ্রিল পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেন। নিয়ম অনুযায়ী পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেওয়ার তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

গত ২৭ এপ্রিল ছিল নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এরপর প্রার্থীরা প্রচার চালানোর জন্য নয়দিন সময় পেয়েছেন। এরপর ছিল প্রচারবিহীন একটি দিন, যে দিনটি সাধারণ ছুটি হিসেবে নির্ধারিত। ভোটাররা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিন্তা করার, গভীরভাবে ভাবার সুযোগ হিসেবে কাজে লাগান এই দিনটিকে ।  


আধুনিক সিঙ্গাপুরের ইতিহাসে ষোড়শ এই নির্বাচনকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। দেশটির নাগরিকদের চোখে তো বটেই, অংশগ্রহণকারী দলগুলোর চোখেও এই নির্বাচন ছিল গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তারা মনে করছে, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়েই তরুণ প্রজন্ম ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব খুঁজে নেবে। আর তা হবে আগাগোড়া প্রযুক্তিনির্ভর, আধুনিক আর ভবিষ্যমুখি।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।