টোকিও: মঙ্গোলিয়াতে পারমাণবিক জ্বালানির যৌথ সঞ্চয়কেন্দ্র স্থাপন করবে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র। তাদের পরমাণু চুল্লি রপ্তানিকারক ক্রেতারা যাতে সহজে জ্বালানি ক্রয়ের সুবিধা পায় সে কারণেই এ উদ্যোগ।
জাপানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, ১১ মার্চে ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামি বিপর্যয়ের কয়েকদিন আগে মঙ্গোলিয়া, জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা পরমাণু জ্বালানি সঞ্চয়কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করে। পরমাণু চুল্লি আছে কিন্তু নিজস্ব জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা নেই এমন দেশের জন্যই এটি করা হবে।
এ ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে মঙ্গোলিয়া চাইলে এ বিষয়টি তার মন্ত্রণালয় বিবেচনা করে দেখবে বলে জানান তিনি।
মেইনিচি পত্রিকা জানায়, এ সঞ্চয়কেন্দ্রের সুবিধা শুধু জাপানি এবং মার্কিন পরমাণু চুল্লি রপ্তানিকারকরাই পাবেন। এর মধ্যে অন্যতম প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- জেনারেল ইলেক্ট্রিক, হিটাচি এবং তোশিবা। প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়াকে টেক্কা দিতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে পত্রিকাটি।
প্রচুর ইউরেনিয়াম খনিজ সমৃদ্ধ দেশ মঙ্গোলিয়া ২০২০ সালের মধ্যে তাদের প্রথম পরমাণু চুল্লি নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। সম্প্রতি জাপানের পরমাণু সঙ্কট সত্ত্বেও তাদের এ পরিকল্পনার ব্যত্যয় ঘটবেনা। গত এপ্রিলে এ প্রত্যয়ের কথা জানান দেশটির রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান মনঅ্যাটোম এএলএলসি’র একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
মনঅ্যাটোম মঙ্গোলিয়া সরকারের খনি ও ইউরেনিয়াম সম্পদ উন্নয়নে কাজ করে।
মেইনিচি জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতেই এ বিষয়টি নিয়ে তিন দেশের চুক্তি সইয়ের কথা ছিল। তবে জাপানের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় একমত হতে না পারার কারণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অসম্মতিতে পরে তা স্থগিত হয়ে যায়।
তবে মেইনিচির এ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পত্রিকাটি আরো জানায় ১১ মার্চের বিপর্যয়ের কারণে চুক্তির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি।
এদিকে, জাপানের মন্ত্রিপরিষদের উপ-প্রধান সচিব ইয়োশিকো সেঙ্গোকু রোববার জানিয়েছেন, এতো বড় দুর্যোগের পরও তারা শক্তির উৎস হিসেবে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার থেকে সরে আসবেন না।
জাপানের প্রয়োজনীয় শক্তির এক তৃতীয়াংশ আসে পরমাণু শক্তি থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১১