ঢাকা: স্মরণকালের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পে হিমালয়কন্যা নেপালের কেঁপে ওঠার পর পেরিয়ে গেছে এক মাস। দেশটিতে চলছে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা।
গত মাসের ২৫ তারিখ রিখটার স্কেলে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে নেপাল। এর ১৭ দিন পর ১২ মে আবার ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশটি। এর সঙ্গে প্রথম ভূমিকম্পের পর থেকেই যোগ হয় একের পর এক পরাঘাত ও ভূমিধস।
শক্তিশালী দুই ভূমিকম্পে হিমালয়কন্যায় নিহতের সংখ্যা এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৬শ’তে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও অন্তত ১৫ হাজার মানুষ।
সেই সঙ্গে অন্তত ৩ লাখ বাড়িঘর আংশিক অথবা সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘরছাড়া হয়েছে অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, দেশটির অন্তত আশি লাখ মানুষের ওপর ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে। আবার ভূমিকম্পের ভয়ে রাতের পর রাত খোলা আকাশের নিচে কাটাতে হয়েছে সহস্রাধিক নেপালীকে। পয়ঃনিষ্কাশন ও সুপেয় পানির অভাবে, ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ।
এসব সামলে দেশ পুনর্গঠনে নেপাল সরকারকে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২০২ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৫
আরএইচ