ত্রিপোলি: সংঘাতপূর্ণ লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি ছেড়ে আসা ৬০০ যাত্রী নিয়ে একটি নৌযান ভূমধ্যসাগরে ডুবে গেছে। নৌযানটি গত শুক্রবার ত্রিপোলি থেকে ইতালির উদ্দেশে রওনা দেয়।
জাতিসংঘের উদ্বাস্তুসংক্রান্ত সংস্থা জানিয়েছে, এ পর্যন্ত শিশুসহ ১৬টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। সংস্থাটির মতে, ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপে যেসব অভিবাসী আসছে তারা নৌযানটি ডুবে যেতে দেখেছে। ত্রিপোলি ছেড়ে যাওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে জাহাজটি ডুবে যায় বলেও তারা জানায়।
এদিকে, আরেকটি নৌযানে যাত্রীদের বিপর্যস্ত অবস্থায় দেখেও সহায়তা করেনি পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোর নৌবাহিনী। এতে ৭২ জন যাত্রীর মধ্যে ৬১ জনই ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত অবস্থায় মারা যায়। দৈনিক গার্ডিয়ান এ খবর প্রকাশ করেছে। তবে ন্যাটো এ বিষয়ে কিছু জানত না বলে দাবি করেছে।
জাতিসংঘের উদ্বাস্তুসংক্রান্ত সংস্থার মুখপাত্র সিবেলা উইলকেস বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেক আত্মীয়স্বজন ওই ৬০০ জনের মধ্যে ছিল। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, কয়েকশ লোক নিখোঁজ রয়েছে। ১৬টিসহ বহু মৃতদেহ সাগরে ভাসতে দেখা গেছে। ’
নিখোঁজ ব্যক্তিদের জাতীয়তা সম্পর্কে কিছুই জানা যায়নি। তবে লাম্বেদুসা দ্বীপে অপেক্ষারত অনেকেই সোমালিয়ার নাগরিক বলে সিবেলা জানান।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, তারা একজন সোমালি নারীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও তার চার মাস বয়সী বাচ্চা মারা গেছে।
চলতি বছর লিবিয়া ও তিউনিসিয়া থেকে প্রায় ৩০ হাজার লোক ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করে। সমুদ্রপথে অনেকে মারাও যায়। উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে সরকার বিরোধী বিক্ষোভের কারণে অভিবাসীরা নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় রওনা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২২৭ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১১