ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়েদার সৃষ্টিতে কার ভূমিকা রয়েছে এমন প্রশ্ন করেন এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার ব্যাপারটা স্মরণ করিয়ে দেন। ইসলামাবাদের একটি দৈনিকে এ খবর বেরিয়েছে।
পাকিস্তানে গোয়েন্দা ও সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাদের সমর্থনে আল কায়েদার প্রধান ওসামা বিন লাদেন ইসলামাবাদের অদূরে আবোটাবাদের বাড়িতে দীর্ঘ প্রায় সাত বছর অবস্থান করতে পেরেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, পাকিস্তানে লাদেনের এক নেটওয়ার্ক কাজ আছে।
সোমবার দেশটির পার্লামেন্টে গিলানি বলেন, ত্রুটিপূর্ণ নীতি ও অন্যের ভুলের দায় কেবল পাকিস্তানের নয়। গিলানি ইতিহাস হাতড়ে বলেন, ‘আমি একটি অতীত যুগ নিয়ে কথা বলছি। এটা এখন সবাইকে মনে করিয়ে দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। সেই যুগ নিয়ে খবর বেরিয়েছে। সিএনএন টেলিভিশনেও স্নায়ু যুদ্ধের সময়কার ঘটনা নিয়ে ধারাবাহিক ভিডিওচিত্র সম্প্রচার করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, মার্কিন কর্মকর্তারা (সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে) বহু আফগান ও মুজাহিদিনকে জিহাদে লেলিয়ে দেয়। ইসলাম ও জাতীয় কর্তব্যের নামে তাদের মসজিদে ও বাড়িতে ফিরতে বলে। ’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আমরা গত শতকের নব্বইয়ের দশকটি মনে দিতে চাই। সেসময় আরবের স্বেচ্ছাসেবকরা জিহাদে যোগ দেয়। তারাই পরে আল কায়েদায় রূপ নেয়। তাহলে আল কায়েদার জন্মের জন্য দায়ী কে? ওসামা বিন লাদেনকে তৈরি করেছে কে?’
গিলানি বলেন, ‘আজকের প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের অল্প কিছু দূর অতীতে গেলেই চলবে। আমাদের সবাইকে সত্য স্বীকার করতে হবে এবং ইতিহাসের আয়নায় মুখ দেখতে হবে। ’
গত ২ মে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযানে লাদেন নিহত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ পাকিস্তানের সহায়তায় লাদেনে সেখানে থাকত। তবে পাকিস্তান এ অভিযোগ নাকচ আসছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১১