ঢাকা: তাপদাহে ফুটন্ত ভারতে অবশেষে নেমেছে প্রশান্তির বৃষ্টি। এর আগে সপ্তাহকালের বেশি সময়ের গরমে দেশটিতে প্রাণহানি হয়েছে অন্তত ২২০০ লোকের।
রোববার (৩১ মে) ভারতের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে বলে আবহওয়া অধিদফতরের বরাত দিয়ে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
এর আগে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপদাহে ডায়রিয়া, আমাশয় ও হিটস্ট্রোকে অন্তত দুই হাজার ২শ’ লোকের প্রাণহানি হয়। এর মধ্যে তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্র প্রদেশে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এই দুই রাজ্যে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে।
অন্ধ্র প্রদেশের নেলোরে, প্রকাশম, বিজয়নগরম, কৃষ্ণা, কাদপা, পশ্চিম গোদাবরি, গুনতুর, বিশখাপত্মম, শ্রিককুলাম ও অনন্তপুর, চিত্তোর ও কুর্নল থেকে প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
আর তেলেঙ্গানার আদিলাবাদ, নিজামাবাদ, করিমনগর, মেদাক, বারঙ্গল, খাম্মাম, রঙ্গারেড্ডি, হায়দরাবাদ, নালগোনদা ও মাহবুবনগর জেলা থেকে, আর অন্ধ্র প্রদেশের পূর্ব গোড়াবাড়ি, পশ্চিম গোড়াবাড়ি, কৃষ্ণ, গুন্তুর, প্রকাশম, নেলোর, চিত্তর, কাদাপা ও কুর্নুল জেলা থেকে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
ভারতের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের শীর্ষ কর্মকর্তা পি. তুলশী রানী জানান, তাপদাহে শুধুমাত্র অন্ধ্র প্রদেশেই এক হাজার ৬শ’ ৩৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
তেলেঙ্গানায় প্রাণহানি হয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচশ জনের বলে জানিয়েছেন এই রাজ্যের এক কর্মকর্তা।
এছাড়া ওড়িষ্যায় প্রাণহানি হয়েছে ২১ জনের। দিল্লি, মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ুসহ অন্যান্য অঞ্চল থেকেও প্রাণহানির খবর এসেছে।
তবে বৃষ্টিতে সাময়িকভাবে তাপমাত্রা খানিকটা নেমে আসলেও ভারতবাসীকে আরও কিছুদিন তাপদাহে পুড়তে হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতর। বিশেষ করে দেশটির দক্ষিণ, পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশেই থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতর কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ১৯৯৫ সালে ভারতে তাপদাহে প্রাণহানি হয় এক হাজার ৬শ’ ৭৭ জনের। এরপর এবারই এতো মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটল বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৫
আরএইচ