কায়রো: মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের আটকাদেশ আরও ১৫ দিন বাড়িয়েছে দেশটির সরকারি কৌঁসুলি। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে হত্যার আদেশ দেওয়ার অভিযোগের তদন্ত চলছে।
মঙ্গলবার সরকারি কৌঁসুলি আবদেল মুগুইদ মাহমুদের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারককে আরও ১৫ দিন আটকের আদেশ দেওয়া হলো। তার বর্তমান আটকের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১২ মে। ’ এর আগে আরও একবার ১৫ দিনের জন্য তার আটকাদেশ মেয়াদ বাড়ানো হয়।
একইদিন মোবারকের মন্ত্রিসভার এক সদস্যের পাঁচ বছরের কারাদ- দিয়েছেন আদালত। এর আগে দেশটির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাবিব আল-আদলিকে অর্থ জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ১২ বছরের কারাদ- দেওয়া হয়।
মিশরের আবকাশকেন্দ্র শারম আল-শেখের হাসপাতালে বন্দি মোবারককে তদন্তকারীর একটি দল জিজ্ঞাসাবাদ করছে। চলতি বছর গত ২৫ জানুয়ারি দেশব্যাপী লাখ লাখ মানুষের মিলিত অংশগ্রহণে বিক্ষোভ শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে মোবারক গত ১১ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। গত ১২ এপ্রিল হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মোবারকের শাসনামলের প্রায় ১২ জন মন্ত্রী ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে আটক করেছে দেশটির বর্তমান সরকার। এদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দুই কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের দুইজন স্পিকার রয়েছেন। মোবারকের দুই ছেলেকেও দুর্নীতির অভিযোগে আটক করেছে।
হোসনি মোবারক ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর পর মিশরের বর্তমান শাসনভার দেশটির সামরিক পরিষদের ওপর। দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগগুলো তদন্ত করেই ছাড়বে--এমন অঙ্গীকার করেছে সামরিক পরিষদ।
বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১১