ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কেন নিরস্ত্র লাদেনকে হত্যা করা হলো: ছেলেদের প্রশ্ন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৮ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১১
কেন নিরস্ত্র লাদেনকে হত্যা করা হলো: ছেলেদের প্রশ্ন

ওয়াশিংটন: আল কায়েদার প্রধান ওসামা বিন লাদেনের ছেলেরা যুক্তরাষ্ট্রের গোপন অভিযানে পাকিস্তানে তাদের নিরস্ত্র বাবাকে হত্যার সমালোচনা করেছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ খবর বেরিয়েছে।



নিউইয়র্ক টাইমসের কাছে একটি বিবৃতিতে তারা জানতে চেয়েছে কেন আল কায়েদার এই নেতাকে জীবিত আটক করা হলো না। একইসঙ্গে বিবৃতিতে গত ২ মে মার্কিন অভিযানে আটক পরিবারের অন্য সদস্যদের মুক্ত করে দেওয়ার দাবি করা হয়েছে।

এতে কেবল ওসামার চতুর্থ সন্তান ওমর বিন লাদেনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। অন্য কারো নাম-পরিচয় এতে নেই।

একটি জিহাদি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিন লাদেনকে সমুদ্রে সমাহিত করে যুক্তরাষ্ট্র তার পরিবারের সম্মানের প্রতি অপমান ও অবমাননা করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী নেভি সিলস পাকিস্তানে অ্যাবোটাবাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে। এরপর যুক্তরাষ্ট্র জানায়, বিন লাদেন নিরস্ত্র অবস্থায় থাকলেও তিনি আত্মসমর্পণের কোনো চিহ্ন দেখাননি।

মার্কিন অ্যাটর্নি  জেনারেল এরিক হোল্ডার জানান, লাদেন হত্যা আইনসম্মত এবং জাতীয় প্রতিরক্ষার স্বার্থে করা হয়েছে।

ওমর বিন লাদেন তার আদর্শ থেকে সবসময় নিজেকে আলাদা রেখেছেন। একথা বারবার তিনি গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করেছেন। মরদেহ বা ছবি ছাড়া তার পরিবার ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যু নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছে না।

বিবৃতিতে প্রশ্ন করা হয়েছে, লাদেন যদি নিহত হন তাহলে কেন একজন নিরস্ত্র মানুষকে গ্রেপ্তার করা হলো না। এরপর তাকে বিচারের মুখে দাঁড় করালে বিশ্বের মানুষের কাছে সত্য বেরিয়ে আসত।

ছেলেরা আরও জানিয়েছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইন ভেঙেছে। ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন ও সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট সেøাবোদান মিলোসেভিচের বিচার যেভাবে হয়েছে তাদের বাবাকেও একইভাবে বিচারের মুখোমুখি করা যেত। ’

বিবৃতিতে বিন লাদেনকে হত্যার তদন্ত দাবি করে বলা হয়েছে, কেন তাকে আদালতের আইন ছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে হত্যা হলো। একইসঙ্গে পাকিস্তানে আটক লাদেনের তিন স্ত্রী ও ছেলেদের মুক্তির দাবিও জানানো হয়েছে এতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।