ঢাকা: স্বাস্থ্যঝুঁকির সবচেয়ে বড় কারণ এখন বায়ুদূষণ। সারা বিশ্বে প্রতি আট মৃত্যুর একটির কারণ এই দূষণ বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
সম্প্রতি জেনেভায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৬৮তম সভায় বিষয়টি উপস্থাপন করা হয় বলে মঙ্গলবার (০২ জুন) জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। প্রতিনিধিরা বায়ুদূষণ রোধে ও স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে করণীয় সম্পর্কেও আলোচনা করেন এ বৈঠকে।
ডব্লিউএইচও তাদের প্রতিবেদনে জানায়, গত এক দশকে বায়ুদূষণে মৃত্যুর হার চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে গড়ে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী আশি লাখ মানুষ বায়ুদূষণের কারণে মারা যাচ্ছে। এর মধ্যে নিন্ম ও মধ্য আয়ের দেশ, বিশেষ করে প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমপ্রান্তীয় ও দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলে প্রাণহানির হার সবচেয়ে বেশি।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, আশি লাখের মধ্যে ৩৭ লাখ মানুষ মারা যায় ঘরের বাইরের বায়ুদূষণের কারণে।
ডব্লিউএইচও ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সর্বশেষ গবেষণায় জানা গেছে, শ্বাসযন্ত্র ও হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন রোগের অন্যতম কারণ বায়ুদূষণ। প্রাকৃতিক এই দূষণের কারণে মানবদেহে ক্যান্সারও বাসা বাধছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
আন্তর্জাতিক ক্যান্সার গবেষণা সংস্থা (আইএআরসি) জানিয়েছে, বাইরের বায়ুদূষণ মানবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টির একটি কারণ। বিশেষ করে, ফুসফুস ও মূত্রাশয়ের ক্যান্সারের অন্যতম কারণ বায়ুদূষণ।
এই অনাকাঙিক্ষত প্রাণহানি ঠেকাতে ৬৮তম সভায় বিশ্বের সকল দেশকে বায়ুদূষণরোধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। দূষণরোধে করণীয় সম্পর্কেও পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। জ্বালানির ব্যবহার, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও আলোর প্রযুক্তিতে দূষণকারী পদার্থের নির্গমন যথাসম্ভব কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে এ বৈঠকে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৫
আরএইচ