ঢাকা: থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার মানবপাচার ক্যাম্পে নারী অভিবাসীরা গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষিতা নারীদের সবাই মায়ানমারের রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের।
মানবপাচার চক্রের সদস্যরা তাদের ধর্ষণ করে বলে সোমবার (০১ জুন) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বারনামা। ধর্ষিতা নারীদের মধ্যে দুইজন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন বলে ওই খবরে জানানো হয়।
নুর খাইদা আব্দুল শুকুর নামে এক নারী অভিবাসীর বরাত দিয়ে বারনামা জানায়, থাইল্যান্ডের পাডাং বেসারের ক্যাম্পে আটক যুবতী নারীদের রাত হলেই অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হতো।
গত বছর থেকে থাইল্যান্ডের ওই ক্যাম্পে আটক ছিলেন নুর খাইদা আব্দুল শুকুর।
তিনি জানান, যুবতী ও সুন্দর দেখতে রোহিঙ্গা নারীদের মানব পাচারকারীদের একটি গোপন আস্তানায় নেওয়া হতো। পাচারকারীদের নিরাপত্তা প্রহরীরা তাদের নিয়ে যেতো। তারপর ওই নারীদের দলবেঁধে ধর্ষণ করা হতো। ক্যাম্পে থাকা অবস্থায় ধর্ষণের শিকার দুই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
এদিকে, নুর খাইদা আব্দুল শুকুরের স্বামী বন্দিশালায় আটক থাকা অপর অভিবাসী নুরু আমিন নবি হুসেইন জানান, মালয়েশিয়ায় পাচারকারীদের বন্দিশালাতেও তিনি একই অপরাধ সংঘটিত হতে দেখেছেন।
চলতি বছর মে মাসে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় দুই দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিবাসীদের গণকবরের সন্ধান পায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এরপর থেকেই এই দুই দেশে মানবপাচারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৫
আরএইচ/আরআই