ঢাকা: ভারতীয় সেনা ও বিমান বাহিনীর যৌথ অভিযানে ভারত-মায়ানমার সীমান্তে হতাহত হয়েছে অর্ধশতাধিক জঙ্গি। এদের বেশিরভাগই আঞ্চলিক বিদ্রোহী সংগঠন ন্যাশনালিস্ট সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অব নাগাল্যান্ড (এনএসসিএন) ও ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) সদস্য বলে জানানো হয়েছে দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।
মঙ্গলবার (০৯ জুন) রাতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, উখরুল, মণিপুর ও নাগাল্যান্ডের তুয়েনস্যাঙ জেলায় অভিযানগুলো পরিচালিত হয়।
এক বিবৃতিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভারত-মায়ানমার সীমান্তে অভিযান পরিচালনাকালে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জঙ্গি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
গত সপ্তাহে মণিপুরের চাণ্ডেল জেলায় অতর্কিত হামলা চালিয়ে ২০ সেনাকে হত্যা করে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওই হামলার পেছনে মঙ্গলবারের অভিযানে নিহত জঙ্গিদের হাত ছিল।
বৃহস্পতিবার (০৪ জুন) সকালে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা মণিপুরের চাণ্ডেল জেলায় হামলার ঘটনাটি ঘটায়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ডোগরা কমান্ডের ছয়টি গাড়ি ইম্ফল থেকে মতুল যাওয়ার পথে চাণ্ডেলে ওঁৎপেতে থাকা বিদ্রোহীদের হামলার মুখে পড়ে। গত দুই দশকের মধ্যে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর এটাই সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা বলে মনে করছেন অনেকে।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় এ হামলার দায় স্বীকার করে নেয় আঞ্চলিক বিদ্রোহী সংগঠন ন্যাশনালিস্ট সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অব নাগাল্যান্ড (এনএসসিএন) ও ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম (উলফা)।
সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ভারতীয় বিমান বাহিনীর কয়েকটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার যৌথ অভিযানে অংশ নিচ্ছে। সেই সঙ্গে আসাম রাইফেল ও সেনাবাহিনীর বিশেষ ইউনিট ‘আর্মি স্পেশাল ফোর্স-২১ প্যারা (এসএফ)’ রয়েছে এ অভিযানে।
কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোড় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমাদেরকে মায়ানমারের সেনাবাহিনী সহায়তা দিচ্ছে। আমরা চাইলে জঙ্গিদের তাড়া করতে প্রতিবেশি রাষ্ট্রেও প্রবেশ করতে পারবো।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৮ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৫
আরএইচ
** বিদ্রোহী দমনে ভারত ও মায়ানমারের যৌথ সেনা অভিযান